
নয়াদিল্লি: ফের পাঠ্য়ক্রম বিতর্কের মুখে এনসিইআরটি। তাদের নতুন পরিচ্ছেদ সংযোজনকে কেন্দ্র করে চড়েছে রাজনীতি। অভিযোগ উঠেছে, দেশভাগের নেপথ্যে কংগ্রেসকে ‘দায়ী’ করেছে তারা।
এই নতুন মডিউলে দেশভাগ সংক্রান্ত একটি পরিচ্ছেদে বলা হয়েছে, এটি কোনও একজন ব্যক্তির মস্তিষ্ক প্রসূত বিষয় নয়। জিন্নাহ দেশভাগ করতে চেয়েছিলেন। কংগ্রেস তাতে রাজি হয়েছে। অবশেষে লর্ড মাউন্টব্যাটন এই দেশভাগকে বাস্তবায়ন করেন। পাশাপাশি, এই দেশভাগই কাশ্মীরকে যাবতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছিল বলেও দাবি করা হয় ওই পরিচ্ছেদে।
এনসিইআরটি সূত্রে খবর, দেশভাগের এই নতুন ‘বিবরণ’ ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সংযোজন করা হয়েছে। যেখানে নিয়মিত পাঠ্যপুস্তকের বাইরে ষষ্ঠ-অষ্টম এবং নবম-দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য পৃথক সংস্করণ তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি, ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবে জিন্নাহর করা সেই কুখ্যাত মন্তব্য, “হিন্দু-মুসলিম, দু’টি ভিন্ন গ্রাম, ভিন্ন ভাবধারা, ভিন্ন সামাজিক নীতির মানুষ”, তাও সংযোজন করা হয়েছে এই মডিউলে।
এই নতুন পরিচ্ছেদ সংক্রান্ত খবর সংবাদমাধ্যমে উঠে আসতেই ক্ষেপে ওঠে কংগ্রেস। এদিন দলের মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, “এই পরিচ্ছেদ জ্বালিয়ে দেওয় উচিত। দেশভাগ হয়েছিল তৎকালীন হিন্দু মহাসভা ও মুসলিম লিগের বিভাজনের রাজনীতির জেরে।” তাঁর সংযোজন, “আরএসএস এই দেশের জন্য ক্ষতিকর। ১৯৩৮ সালে হিন্দু মহাসভা দেশভাগের দাবি তোলে। তারপর ১৯৪০ সালে সেই একই দাবি শোনা যায় মুসলিম লিগের মুখেও।”