
মুম্বই: চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু কে জানত, ১২ ঘণ্টার মধ্যেই গোটা ছবিটা বদলে যাবে। যে পরিবারের অন্দরে ঘণ্টা খানেক আগেও জড়ো হয়েছিল দুঃখের মেঘ। সেই পরিবারই চোখের সামনে ফের দেখবে আশার আলো।
ঘটনা মহারাষ্ট্রের বিড়ের। গত ৭ই জুলাই রাতবিরেতে গর্ভবতী অবস্থায় বিড় জেলার আম্বাজোগাইয়ের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বালিকা ঘুগেকে। কিন্তু শিশু জন্ম হলেও, সেই সদ্যোজাতকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। নিমিষে শোকের ছায়া পরিবারের অন্দরে।
জন্মের ১২ ঘণ্টার পর্যন্ত সেই সদ্যোজাতকে হাসপাতালেই রাখেন চিকিৎসকরা। যদি প্রাণ ফেরে। সেই আশাতেই হাসপাতালে সদ্যোজাতর দেহটা রেখে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু কোনওই লাভ হয় না। ফলত, নিরাশ হয়েই পরিবারের হাতে সেই প্রাণহীন সদ্যোজাতর দেহটি তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এরপরই ঘটে ম্যাজিক। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে সদ্যোজাতর দেহটি কবর দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল তারা। কিন্তু কবর দেওয়ার আগে একবার শেষবারের জন্য সেই সদ্যোজাতকে দেখতে চায় তার দিদা। তখনই দেহটিতে জড়়ানো কাপড় সরাতেই তিনি দেখেন একটু নড়ে উঠল নবজাতটি। বুঝতে পারেন, সে জীবিত। আতঙ্ক ও আনন্দে চমকে ওঠে পরিবার।
এরপরই সঙ্গে সঙ্গে ওই জেলা হাসপাতালে ছুটে যায় তারা। সেখানে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় সেই নবজাতটিকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে সদ্যোজাতটি।
তবে এই ঘটনার দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে নবজাতর মা। তাঁরহ অভিযোগ, ‘ওকে যখন চিকিৎসকরা নিয়ে গিয়েছিল, তখনই একটু নড়তে দেখা গিয়েছিল। আমরা সেই ব্যাপারটা নার্সদের জানিয়েও ছিলাম। কিন্তু ওরা গুরুত্ব দেয়নি। সাফ বলে দিয়েছিল, ও নাকি আর বেঁচে নেই।’