
নয়াদিল্লি: সাতসকালে অভিযানে নামল জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা বা এনআইএ। সোমবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা, সোপিয়ান এবং কুলগাম জেলার অন্তর্গত আটটি এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু এই হঠাৎ করে এই অভিযানের কারণটাই বা কী? সূত্রের খবর, দিল্লির বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত ‘হোয়াইট কলার টেরর মডিউলের’ নেটওয়ার্কের কিনারা পেতেই এই অভিযানে নামেন তদন্তকারীরা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিনের অভিযানে শোপিয়ানে স্থিতু মৌলবী ইরফান আহমেদ ওয়াগের বাড়িতেও তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। গত অক্টোবর মাসেই গ্রেফতার করা হয়েছিল এই মৌলবীকে। আপাতত NIA-হেফাজতেই রয়েছে সে। তদন্তকারীদের অনুমান, দিল্লি বিস্ফোরণ, এমনকি গোটা দেশজুড়ে তৈরি হওয়া ‘হোয়াইট কলার টেরর’ নেটওয়ার্কের মাস্টারমাইন্ড এই ব্যক্তি। আহমেদ ওয়াগা ছাড়াও সম্প্রতি শ্রীনগরে জইশ-পোস্টার ছড়ানো আদিল র্যাদারের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য়, দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় জঙ্গি-যোগ অনেকটাই স্পষ্ট। ধৃত চিকিৎসকদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যোগ রয়েছে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। সেই অনুমানের নিরিখে নানা তথ্যও উঠে এসেছে তাঁদের হাতে। এই আবহে রবিবার আরও তিন জনকে পাকড়াও করেছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল।
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর সঙ্গে এদের যোগ রয়েছে বলেই অনুমান তদন্তরকারীদের। সংবাদসংস্থা এএনআই-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, পঞ্জাব, মধ্য প্রদেশ এবং উত্তর প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন সন্দেহভাজন পাক চরকে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ‘এই ধৃতদের সঙ্গে সম্ভবত পাকিস্তানি গুপ্তচর শেহজাদ ভাটির যোগ রয়েছে।’