Tahawwur Rana: NIA-এর কাছে রানা বলল ‘ছেলেবেলার গল্প’, প্রথম দিনের জেরায় কতটা ‘বরফ গলল’ তাহাউরের?
Tahawwur Rana: তদন্তকারীদের কাছে নিজের ছেলেবেলার 'স্বপ্ন' নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রানা। পাকিস্তানে পঞ্জাব প্রদেশে জন্ম তাঁর। বাবা ছিলেন স্কুল মাস্টার। তাহাউরের আরও দুই ভাই। তার প্রত্যেকে পাকিস্তানেই রয়েছেন। একজন সেনা-চিকিৎসক।

নয়াদিল্লি: শুক্রবার সকাল থেকেই দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে মুম্বই হামলার মূল চক্রী তাহাউর রানাকে। NIA সদর দফতরের নীচ তলার একটি সেলেই রাখা হয়েছে তাঁকে। আগামী ১৮ দিন সেখানেই থাকবে সে। রানার বিরুদ্ধে তদন্তে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে ১২ সদস্যের বিশেষ কমিটি। একমাত্র এই কয়েকজনই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রানাকে জেরা করতে পারবে বলে খবর NIA তরফে।
কেমন গেল রানার প্রথম দিনের জেরা পর্ব?
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা পর্বেই বেশ চুপ থেকেছে তাহাউর রানা। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন তদন্তকারীদের বিন্দুমাত্র সহযোগিতা করেনি সে। যতটা পেরেছে চুপই থেকেছে। কিন্তু তাতে হার মানে NIA। কিছু কিছু প্রসঙ্গে তাহাউরের মুখের কুলুপ ‘ভেঙেছে’ তারা।
‘কুলুপ’ ভেঙে কোন রহস্য ভেদ করল NIA?
তদন্তকারীদের কাছে নিজের ছেলেবেলার ‘স্বপ্ন’ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রানা। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে জন্ম তাঁর। বাবা ছিলেন স্কুল মাস্টার। তাহাউরের আরও দুই ভাই। তার প্রত্যেকে পাকিস্তানেই রয়েছেন। একজন সেনা-চিকিৎসক। অন্যজন সাংবাদিক। এমনকি, তাহাউরের নিজেরও সেনায় যোগদানের ইচ্ছা ছিল। সেই সূত্র একটি সেনা কলেজেও ভর্তি হয়েছিলেন রানা। সেখানেই তার পরিচয় হয়েছিল মুম্বই হামলার আরও এক ষড়যন্ত্রী ডেভিড কলম্যান হেডলির সঙ্গে।
NIA তরফে আরও জানা গিয়েছে, পরবর্তীতে সেনায় চিকিৎসক হিসাবে কাজ করলেও। অবসরগ্রহণের পরেও সেনা ও ISI গুপ্তচরদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতেন রানা। কানাডায় গিয়ে যখন তিনি মাংসের ব্যবসা খুলেছেন। সেখানেও তার সঙ্গে দেখা করতে যেত পাকিস্তানি গুপ্তচররা। এমনকি, সেনা থেকে অবসরের পরেও লস্করী-বৈঠকে ISI-এর পোশাকে যোগ দিতেন রানা।





