Meghalaya Murder: হোটেলে পড়ে মঙ্গলসূত্র ও আংটি, একটা ‘ভুলেই’ রক্ষে হল না সোনমের

Meghalaya Murder: ট্রেকিংয়ের পর সেদিন রাত নংরিয়াতেই কাটিয়েছেন তারা। পরদিন অর্থাৎ ২৩ মে আবার ট্রেকিং করে তাদের সোহরায় ফেরার কথা ছিল। সেই সূত্র ধরেই ট্রেকিংয়ের পর নিজেদের ভাড়া করা স্কুটার নিয়ে ওয়েসিডং জলপ্রপাতের দিকে রওনা দেয় সোনম-রাজা।

Meghalaya Murder: হোটেলে পড়ে মঙ্গলসূত্র ও আংটি, একটা ভুলেই রক্ষে হল না সোনমের
Image Credit source: X

|

Jun 12, 2025 | 1:57 PM

শিলং: কোনও সদ্য বিবাহিত একটা অচেনা হোটেলে নিজের আস্ত স্যুটকেস, মঙ্গলসূত্র ও বিয়ের আংটি কি ফেলে যেতে পারে? এমন ঘটনা কিন্তু কার্যতই বিরল। ফলত, তা যে পুলিশের নজর কাড়বে এটাই স্বাভাবিক। মেঘালয় মধুচন্দ্রিমা-কাণ্ডে সেই সূত্রটাকেই আধার করেছিল পুলিশ।

মেঘালয় মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে সেখানকার পূর্ব খাসি হিলের সোহরায় একটি হোমস্টেতে রাত কাটিয়েছিলেন সোনম-রাজা। এরপর ২২ মে সেখান থেকে তাদের রওনা দেওয়ার কথা ছিল নংরিয়াত গ্রামের উদ্দেশে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ৩ হাজার সিঁড়ি টপকে ওই গ্রামে পৌঁছানোর জন্যই নিজের ট্রলিব্যাগ রেখে গিয়েছিলেন সোনম।

ট্রেকিংয়ের পর সেদিন রাত নংরিয়াতেই কাটিয়েছেন তারা। পরদিন অর্থাৎ ২৩ মে আবার ট্রেকিং করে তাদের সোহরায় ফেরার কথা ছিল। সেই সূত্র ধরেই ট্রেকিংয়ের পর নিজেদের ভাড়া করা স্কুটার নিয়ে ওয়েসিডং জলপ্রপাতের দিকে রওনা দেয় সোনম-রাজা। আর তারপরের ঘটনা আপাতত সাধারণের কাছে পরিস্কার। সেখানেই সেলফি তোলার বাহানায় খুন হন রাজা।

নংগ্রাংয়ের এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, ‘সোহরার হোমস্টে থেকে সোনমের মঙ্গলসূত্র ও আংটি উদ্ধার করা হয়। একজন বিবাহিত মহিলা গয়না ফেলে যাচ্ছেন, এটাই আমাদের সন্দেহ তৈরি হয়। এরপর সেই মতোই তদন্ত চলে।’

উল্লেখ্য, ২৩ মে রাজা-খুনের পর গা-ঢাকা দিয়েছিলেন সোনম। এর ঠিক ১৬ দিন পর বিভ্রান্ত কাটিয়ে অবশেষে মেলে তার হদিশ। ৯ই জুন মধ্যরাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের ধাবায় খোঁজ মেলে সোনমের। সেই ধাবার মালিকই তাকে দেখে চিনতে পারেন। তিনিই খবর দেন পুলিশকে। পাশাপাশি, সোনম নিজেই ধাবার মালিকের ফোন নিয়ে তাঁর বাড়িতে ফোন করেন। তখন সোনমের বাড়ির লোক আবার ফোন করে ইন্দোর থানায়। সেখান থেকে ফোন যায় উত্তর প্রদেশের গাজ়িপুর থানায়। তারপর সোনমকে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেই আত্মসমর্পণ করেন তিনি। সবটা স্বীকার করেন পুলিশের কাছে।