Terror in Jammu: ‘সাদা মেঘের’ আড়াল থেকে নাশকতার ছক, উপত্যকায় বিশেষ নজর ভারতীয় সেনার
Indian Army: গোয়েন্দা সূত্রের খবর, জম্মুর কিশতওয়ার এবং ডোডোর উঁচু ও মাঝারি পাহাড়ি এলাকায় আস্তানা গড়েছে পাক জঙ্গিগুলি। এই এলাকায় সাধারণ মানুষ খুব একটা যায় না। তাই সেখান থেকেই নিজেদের সন্ত্রাসী-অভিযানকে পরিণতি দেওয়ার ছক কষছে তাঁরা।

নয়াদিল্লি: এ যেন রক্তবীজ, যা বেড়ে উঠছে ‘কবর ফুঁড়ে’। অপারেশন সিঁদুর, তছনছ হয়ে যায় লস্কর-জইশদের একের পর এক ঘাঁটি। প্রত্য়াশা ছিল, এই মার ভোলার মতো নয়। কিন্তু তারপরেই দিল্লি বিস্ফোরণ — উল্টে দিল পাশার চাল। শ্রীনগরের তল পেটে যে আবার সন্ত্রাসের বীজ বপন হয়েছে, তাও কাচের মতো স্বচ্ছ হয়ে গেল।
ইতিমধ্য়েই দেশের সেনাকর্তাদের সতর্ক করেছে অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা বিভাগ। শীতের মরসুমে জম্মু-কাশ্মীরে বড় কোনও সন্ত্রাস হানার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেই আশঙ্কা তাঁদের। সক্রিয় ভাবে কাজ করছে ৩০ পাকিস্তানি জঙ্গি। যা রুখতে এবার প্রতিকূল আবহাওয়াতেই অভিযানে নেমেছে সেনা। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অভিযান শুরু হতেই চাপে পড়েছেন পাক জঙ্গিরা। কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তাঁরা।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, জম্মুর কিশতওয়ার এবং ডোডোর উঁচু ও মাঝারি পাহাড়ি এলাকায় আস্তানা গড়েছে পাক জঙ্গিগুলি। এই এলাকায় সাধারণ মানুষ খুব একটা যায় না। তাই সেখান থেকেই নিজেদের সন্ত্রাসী-অভিযানকে পরিণতি দেওয়ার ছক কষছে তাঁরা। তবে পাহাড় বেয়ে নীচে নামতে পারছে না। কারণ, উপত্যকায় একেরবারে বন্দুক দেগে ফেলেছে ভারতীয় সেনা।
শুরু হয়েছে অভিযান
কাশ্মীর তাপমাত্রা মাঝে মধ্য়েই নেমে যাচ্ছে হিমাঙ্কের নীচে। সাদা বরফে ঢেকেছে গোটা উপত্য়কা। হয়ে উঠেছে আরও সুন্দর। কিন্তু এই ‘সাদা মেঘের’ আড়াল থেকেই নাশকতা ছড়ানোর ছক কষেছে পাক সন্ত্রাসীরা। অভিযান চলছে ঠিকই, কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশের কারণে জঙ্গিদের একেবারে হাতেনাতে পাকড়াও করা অথবা খতম করা কোনওটাই বাস্তবে সম্ভব হয়ে উঠছে না।
