AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR in Bengal: প্রায় ৬০ বছরের পুরনো মাধ্যমিকের অ্যাডমিট নিয়ে হিয়ারিংয়ে হাজির বৃদ্ধা, শুধু বললেন ‘ভাল লাগে যত্নে রাখতে’

SIR Update: এসআইআরের যাচাই প্রক্রিয়া দশের অধিক ডকুমেন্টের কথা বলেছে কমিশন। অর্থাৎ মাধ্যমিকের তথ্য ছাড়াও আরও একাধি নথি দেখানোর সুযোগ থাকছে সেখানে এত পুরনো মাধ্যমিকের অ্য়াডমিট কার্ড, শংসাপত্র তাও আবার এত ভাল অবস্থায় তা দেখে অনেকেই বিস্মিত হন। ভারতী দেবী যদিও বলছেন নিজের পড়াশোনার জিনিস সযত্নে রেখে দিতে ভালোবাসেন।

SIR in Bengal: প্রায় ৬০ বছরের পুরনো মাধ্যমিকের অ্যাডমিট নিয়ে হিয়ারিংয়ে হাজির বৃদ্ধা, শুধু বললেন ‘ভাল লাগে যত্নে রাখতে’
কী বলছেন বৃদ্ধা? Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 28, 2025 | 4:06 PM
Share

কলকাতা: শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর-এর দ্বিতীয় পর্যায়। পুরোদমে চলছে কাজ। প্রতিটি বিধানসভা ক্ষেত্র পিছু ৮টি জায়গায় থাকছে শুনানির ব্যবস্থা। একাধিক স্কুল ও সরকারি অফিসে চলছে শুনানি। প্রথম পর্যায়ে মূলত আনম্যাপড ভোটারদেরই শুনানিতে ডাকা হয়েছে বলে খবর। শ্রীরাম মন্দির লেনের বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী ভারতী দে। ফর্মে নামের ক্ষেত্রে ভুল থাকায় শুনানিতে ডাকা হয়েছিল এই বৃদ্ধাকে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯৬৭ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া এই বৃদ্ধা নিজের ঝকঝকে অ্যাডমিট কার্ড এবং মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নিয়ে হাজির। তা দেখেই হতবাক অনেকে। 

এদিকে এসআইআরের যাচাই প্রক্রিয়া দশের অধিক ডকুমেন্টের কথা বলেছে কমিশন। অর্থাৎ মাধ্যমিকের তথ্য ছাড়াও আরও একাধি নথি দেখানোর সুযোগ থাকছে সেখানে এত পুরনো মাধ্যমিকের অ্য়াডমিট কার্ড, শংসাপত্র তাও আবার এত ভাল অবস্থায় তা দেখে অনেকেই বিস্মিত হন। ভারতী দেবী যদিও বলছেন নিজের পড়াশোনার জিনিস সযত্নে রেখে দিতে ভালোবাসেন। কিন্তু সেটা যে এত কাজে লাগবে সেটা তিনি কখনও বুঝতে পারেননি। কিন্তু কেন ডাকা হয়েছে তাঁকে? ভারতী দেবী বলছেন, “নামের ক্ষেত্রে হয়তো কিছু ভুল থাকতে পারে। তাই আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আমি আসার পর আমাকে বলা হল, কেন আমি এসেছি। বাড়িতেই নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা পৌঁছে যাবে। তবে আমি বিগত দিনের প্রতিটি নির্বাচনেই ভোট দিয়েছি। ২০০২ সালেও নাম রয়েছে।” বয়সের ভারে এখন শরীর ভেঙেছে। শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও এদিন পায়ে হেঁটে এতটা রাস্তা এসে শুনানি কেন্দ্রে সময় মতোই পৌঁছলেন ওই বৃদ্ধা। গণভবন থেকে বেরিয়ে কথা বললেন মন্ত্রীর সঙ্গেও। 

অন্যদিকে চেতলা গার্লস স্কুলে নির্বাচন কমিশনের তরফে শুনানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার অদূরে তৃণমূলের তরফ একটি ক্যাম্প করা হয়েছে যেখানে এসে সাধারণ মানুষ কথা বলছেন। বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাকার কাউন্সিলর তথা মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ওই ক্যাম্পে যান। দীর্ঘক্ষণ সেখানে মানুষদের সঙ্গে কথাও বলেন।