
বেঙ্গালুরু: গত ৭ মে থেকে কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। অবশেষে নদীতে মিলল গবেষকের মৃতদেহ। পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত ড. সুব্বান্না আয়াপ্পানের মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। গত রবিবার সন্ধ্য়ায় তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্রীরঙ্গপটনায় কাবেরী নদীতে ভাসছিল ওই গবেষকের দেহ।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ-এর ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন ড. সুবান্না আয়াপ্পান। স্ত্রীর সঙ্গে মাইসোরের বাড়িতে থাকতেন তিনি। তিনি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর অনুসন্ধান করতে গিয়ে পুলিশ দেখে গবেষকের স্কুটার পড়ে রয়েছে নদীর ধারে। এরপর উদ্ধার হয় দেহ।
তাঁর মৃত্যু ঘিরে শ্রীরঙ্গপটনায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত আয়াপ্পানকে ভারতের ব্লু রেভোলিউশনের কারিগর বলে উল্লেখ করা হয়। মাছ চাষ করার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছিল তাঁর গবেষণা। গ্রামের জনজীবন থেকে শুরু করে খাদ্য উৎপাদন সবটাই বেড়ে যায় তাঁর নতুন পদ্ধতিতে। তাঁর সেই গবেষণাকে সম্মান জানাতেই ২০২২ সালে তাঁকে পদ্ম পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।
ফিশারি সায়েন্স নিয়েই পড়াশোনা করেছিলেন ড. সুবান্না আয়াপ্পান। সেই বিষয়ে পিএইচডি করার পর মাছ চাষ নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণার কাজ করেছেন তিনি। সেন্ট্রাল ইন্সটিউট অব ফ্রেশওয়াটার এগ্রিকালচার ও মুম্বইয়ের সেন্ট্রাল ইন্সটিউট অব ফিশারিজ এডুকেশনের ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। ন্যাশনাল ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড থেকে শুরু করে ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি সেন্ট্রাল এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির ভাইস-চান্সেলর ছিলেন। পরিবারে তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান আছে।