
শ্রীনগর: পহেলাগাঁও হত্যাকাণ্ডে আরও এক জঙ্গির ছবি-পরিচয় প্রকাশ্যে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে একাধিক পাক জঙ্গি জড়িত। তার মধ্যে একজন ফারুক আহমেদ। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এই ফারুকই সেদিন ঘন পাইন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে জঙ্গিদের বৈসরণের ওই রিসর্টে নিয়ে এসেছিল। অপারেশন সাকসেসফুল হওয়ার পর বরফের রাস্তা কেটে জঙ্গলের ভিতর থেকে আবারও সুরক্ষিত জায়গায় জঙ্গিদের পৌঁছে দেয় ফারুক। জঙ্গলের রাস্তা খুব ভাল করে না চেনা থাকলে, এটা করা সম্ভব নয় বলেও মনে করছেন গোয়েন্দারা। প্রথম থেকেই গোয়েন্দারা মনে করছিলেন, স্থানীয় কেউ এই ‘পথপ্রদর্শকের’ কাজ করতে পারে। কিন্তু উঠে আসে ফারুক আহমেদের নাম।
আর এই ফারুকই লস্কর শীর্ষ কমান্ডার। গত ২ বছরে ফারুকের সাহায্যে একাধিক হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। ফারুক আহমেদ আসলে কুপওয়াড়ার বাসিন্দা। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে সে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লুকিয়ে রয়েছে। এই ফারুকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ। ইতিমধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর ই তৈবার ছায়া সংগঠন TRF।
তবে পহেলগাঁও হত্যা মামলার পর জম্মু কাশ্মীরে এখনও সক্রিয় ১২৫-১৩০ জঙ্গি। গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার মধ্যে জম্মু ও রাজৌরিতেই রয়েছে ৬০-৬৫ জন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে ২০১ জন উপত্যকা ছেড়ে পাকিস্তানে যায়। ২০১৮ সালের পরবর্তী সময়ে ২০২০ ও ২০২১ সালে আরও ১০০ জন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেয়। পরে তারা ছোট ছোট ব্যাচে উপত্যকায় ফিরে আসে। তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে রয়েছে। দক্ষিণ কাশ্মীরে যারা ছিল, তারাই ফিরে এসেছে। বেশ কয়েকজন পাকিস্তানের বাসিন্দাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।