
শ্রীনগর: অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছিল কাশ্মীরের বুকে। এই অধ্যায় নেই হিংসা, নেই অশান্তি। কিন্তু সেই ছন্দকেই যেন আবার কেটে দিয়ে গেল একদল জঙ্গি। মঙ্গলবার পহেলগাঁও চলা হত্যালীলা নতুন করে দাগ কেটে গেল উপত্যকার বুকে। একটা হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু আবার জন্ম দিল ভয়ের।
এই গোটা হামলায় প্রাণ গিয়েছে ২৬ জনের। এই মৃত্যু আসলে একটা শূন্যতা। একজনের হারিয়ে যাওয়ার ভয়। পহেলগাঁওয়ের হামলায় বাংলার তিনটি পরিবারে তৈরি হয়েছে সেই ‘অপরিচিত’ শূন্যতা। প্রাণ গিয়েছে পাটুলির বিতান অধিকারীর। বেহালার সমীর গুহর ও পুরুলিয়ার মণীশ রঞ্জনের। কিন্তু এই তিন জন ছাড়াও অন্য সকল রাজ্য থেকে কতজনের প্রাণ গিয়েছে?
সেই হামলায় প্রাণ গিয়েছে বাংলার পড়শি রাজ্য ওড়িশার এক বাসিন্দারও। তার নাম প্রশান্ত কুমার স্বতপথী। তিনি ওড়িশার বালেশ্বরের বাসিন্দা। ওড়িশার মতো প্রাণ গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের এক বাসিন্দারাও। তার নাম সুশীল নাথানিয়েল। তিনি ইন্দোরের বাসিন্দা। কাজ করতেন LICতে। পহেলগাঁও হামলার দিনে জঙ্গিরা তাকে হত্য়া করে ও বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে পায়ের গুলি লাগে মেয়ের। এছাড়াও, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রাণ গিয়েছে একজনের।
হরিয়ানা যিনি বাসিন্দা, তিনি আবার ছিলেন ভারতীয় নৌসেনার কর্মী। সদ্যই বিয়ে সেরে কাশ্মীরে গিয়েছিলেন হানিমুনে। কিন্তু স্ত্রী বেঁচে গেলেও, প্রাণ চলে যায় তার। পহেলগাঁওয়ের হামলায় সব থেকে বেশি প্রাণ গিয়েছে মহারাষ্ট্র থেকে। কেন্দ্র সরকার প্রযোজ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামলার শিকার মহারাষ্ট্রের ছয় জন। এরপরেই বাংলার মতো প্রাণ গিয়েছে গুজরাটের তিন বাসিন্দারও। প্রাণ গিয়েছে কর্নাটকের তিন বাসিন্দার। প্রাণ গিয়েছে খোদ কাশ্মীরের এক সহিস আদিল হুসেন শাহের। তিনি একজন সহিস। পর্যটকদের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে হামলার কোপে পড়তে হয় তাকে। প্রাণ গিয়েছে এক নেপালের বাসিন্দারও।