
নয়াদিল্লি: সীমান্তে নতুন করে বাড়ছে দাবদাহ? একই সময় ভারত-পাকিস্তানের নোটাম জারি করাকে কেন্দ্র করে সেই প্রশ্নই তুলছেন একাংশ। উস্কে দেওয়া হয়েছে সেই স্যর ক্রিক প্রসঙ্গও। কারণ উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুই সেটা। গত মাসেই গুজরাত সীমান্তের এই অংশ নিয়ে সতর্ক করেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কাশ্মীর ছেড়ে কচ্ছের রণে নজর পড়েছে পাকিস্তান, অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এবার সেই স্যর ক্রিকের অদূরে হবে পাক সেনার মহড়া। ঘুরপথে ভারতকে হুঁশিয়ারি?
এ যেন চোখ রাঙানির খেলা। শনিবার পাকিস্তানের জারি করা সতর্কতা অনুযায়ী, আগামী ২ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিতর্কিত স্য়র ক্রিকের অনতিদূরেই জলসীমায় গুলিবর্ষণ এবং নৌ-মহড়া চালাবে তাঁরা। এই মহড়ার সুবাদেই ইতিমধ্যে মধ্য ও দক্ষিণ পাকিস্তানজুড়ে সাময়িক স্থগিত হয়েছে বেশ কয়েকটি বিমান রুট। এছাড়াও সতর্ক করা হয়েছে, ওই এলাকা দিয়ে যাওয়া বাণিজ্য়িক ও অসামরিক জাহাজগুলিকেও। তবে একাংশ মনে করছেন, শুধুই গুলিবর্ষণ বা ফায়ারিং মহড়া নয়। ওই এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও করতে পারে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পরোক্ষ হুঁশিয়ারি চুপ করে সহ্য করবে ভারত? স্যর ক্রিকের দিকে চোখ তুলে তাকালেই পাকিস্তানকে শায়েস্তা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেই স্যর ক্রিকের অনতিদূরেই এবার পাক নৌসেনার মহড়া আয়োজনকে সোজা চোখে দেখছে না নয়াদিল্লি। তাও আবার সেই সময় যখন ওই স্যার ক্রিকের কাছেই মহড়া করছে ভারতীয়। গত ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে তিন বাহিনী ত্রিশূল মহড়া। সাম্প্রতিক অতীতে হওয়া মহড়াগুলির মধ্যে যা সর্বশক্তিমান। চলবে আগামী ১০ই নভেম্বর পর্যন্ত। এর মাঝেই ২ থেকে ৫ নভেম্বর যেন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। একই সময়, সাময়িক ব্য়বধানে প্রায় একই জায়গায় মহড়া চালাবে দুই বিপরীত-মুখী দেশ।