
পটনা: বিহারের ভোটার তালিকায় পাকিস্তানের নাগরিক। সম্প্রতি পড়শি রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ এবং নিবিড় পরিমার্জন চালিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারপর সেই সমীক্ষার ভিত্তিতে প্রকাশিত খসড়া তালিকাতেই উঠে এসেছে পাকিস্তানের এক বৃদ্ধার নাম। যা সাড়া ফেলেছে গোটা রাজ্যজুড়ে।
কিন্তু খসড়া তালিকা তো কবেই প্রকাশিত হয়েছে। যাদের নাম বাদ পড়েছে, তারাও ইতিমধ্যে নাম দাখিলের জন্য আবেদন জমা দিতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই কীভাবে ওই পাকিস্তানি বৃদ্ধার নাম প্রকাশ্যে এল? বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ বিদেশি নাগরিকদের একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেখানেই মেলে ওই বৃদ্ধারও নাম। এমনকি, গত ১১ই অগস্ট শাহের দফতর থেকে তাকে একটি নোটিসও পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে বিহারের ভাগলপুরেই রয়েছেন ওই পাক নাগরিক। নাম ইমরানা খানাম। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তার বেশ বয়স হয়েছে। বিছানা থেকেও উঠতে পারে না। নিজের দৈনন্দিন কাজও কারওর সাহায্য ছাড়া তার পক্ষে করা অসম্ভব।সংবাদসংস্থা এএনআই-কে ওই এলাকার বুথ লেভেল অফিসার ফরজানা খানাম জানিয়েছেন, ‘ওই পাক নাগরিকের নাম বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বার্ধক্যজনিত কারণে উনি বিছানাতেই প্রায় শয্যাশায়ী। এই পরিস্থিতি নাম বাতিলের প্রক্রিয়া বা ভিসার জন্য ছোটাছুটি করা তার পক্ষে করা অসম্ভব।’
কিন্তু এই বৃদ্ধা পাকিস্তান থেকে কবেই বা এলেন? এখানে কি একাই থাকেন নাকি পরিবার পরিজন রয়েছে? প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই বৃদ্ধার থেকে ১৯৫৬ সালের একটি পাকিস্তানি পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। ১৯৫৮ সালে ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন ইমরানা। তারপর থেকে যান এখানেই। অবশ্য, তার পরিবার-পরিজন বলতে কেউ রয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।