Parliament Disruption: দশে মাত্র আড়াই, ভারতীয় সংসদে জলে গেল ৪০ কোটি টাকা

Parliament Disruption: কিন্তু এই ৮ দিনের মধ্যে কতদিন সংসদে অধিবেশন বসল? দু'টি কক্ষ মিলিয়ে হিসাব দাঁড়াচ্ছে প্রায় সাড়ে পাঁচদিন। বাকি দিনগুলি কী হল? চলল প্রতিবাদ।

Parliament Disruption: দশে মাত্র আড়াই, ভারতীয় সংসদে জলে গেল ৪০ কোটি টাকা
সংসদের ছবিImage Credit source: PTI

|

Aug 02, 2025 | 8:50 PM

নয়াদিল্লি: সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা অনেকটাই মিটেছে। এবার বাদল অধিবেশনে ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চাইছে বিরোধী শিবির। আর আলোচনা না হলে ভেস্তে যেতে পারে অধিবেশন। কারণ ইন্ডিয়া জোট ব্যস্ত থাকবে কমিশন ঘেরাওয়ে। অর্থাৎ সংসদের সময় ‘নষ্ট’। ক্ষতি বিপুল অর্থেরও।

গত মাসের ২১ তারিখ থেকে সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হয়। শনি-রবি বাদ দিয়ে প্রতিদিন ৫ ঘণ্টা করে অধিবেশন চলার কথা। যার মধ্য়ে এক ঘণ্টা আবার ‘লাঞ্চ টাইম’। অর্থাৎ হাতে রইল ৮ দিন। যার মধ্য়ে দুই কক্ষে এক দিন করে চলেছে ১৬ ঘণ্টার অধিবেশন। কিন্তু এই ৮ দিনের মোট কতদিন মুলতুবি ছাড়া সংসদ চলল? দু’টি কক্ষ মিলিয়ে হিসাব দাঁড়াচ্ছে প্রায় আড়াই দিন। আর বাকি সাড়ে পাঁচ দিন কী হল? চলল প্রতিবাদ। অধিবেশন হল মুলতুবি।

সংসদ টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপির লোকসভা সাংসদ যোগেন্দ্র চান্ডোলিয়া আবার বলছেন, “এই শুক্রবার অর্থাৎ ৩১ তারিখ সংসদ শুরু হয়ে ১০ দিন কেটেছে। যার মধ্য়ে সাড়ে সাত দিন বিরোধী শিবির সংসদের সময় নষ্ট করেছে। মাত্র আড়াই দিন মতো অধিবেশন চলেছে।”

একই সুর শোনা গিয়েছে রাজ্যসভা ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের মুখেও। তিনি বলেন, “২১ জুলাই থেকে অধিবেশন বসেছে। যার মধ্য়ে ৩০ ঘণ্টা ৬ মিনিট কার্যত নষ্ট হয়ে গিয়েছে।” দিনের হিসাবে যা দাঁড়ায় প্রায় ৫ দিনের একটু বেশি।

এই ক্ষতি যে শুধুমাত্র সময়ের মধ্যে আবদ্ধ এমনটা নয়। ২০১২ সালে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় পরিষদীয় মন্ত্রী পবন বনশাল বলেছিলেন, অধিবেশন চালাতে লোকসভায় প্রতি মিনিটে খরচ পড়ে আড়াই লক্ষ টাকা ও রাজ্যসভায় খরচ পড়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। অতএব যত সময় নষ্ট, তার খরচও বিপুল। কয়েক কোটি টাকা বলা যেতে পারে। অর্থাৎ এই সাড়ে পাঁচ দিনে ক্ষতি হল প্রায় ৪০ কোটি টাকার।

মঙ্গলবার সেই কারণেই হয়তো কেন্দ্রীয় পরিষদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বিরোধীদের দিকে ‘জনগণের টাকা নষ্ট’ করার অভিযোগ করে বসলেন। সহজ কথা বিরোধীদের প্রতিবাদ নিয়ে ‘আপত্তি’। এবার এই পরিপ্রেক্ষিতে তারা কী বলছেন? কংগ্রেস সাংসদ রণদীপ সূর্যেওয়ালার অভিযোগ, শাসক শিবির সংসদে কাজ করতে দিচ্ছে না। কোনও আলোচনাতেও অনুমতি দিচ্ছে না। একই অভিযোগ তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনেরও। তিনি বলেন, “শেষবার ২০১৬ সালে বিরোধীদের প্রস্তাবিত বিষয় নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছিল। এবারে প্রধানমন্ত্রী সংসদ থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখের কথার ঠিক নেই।”