
নয়াদিল্লি: গ্রীষ্মের শুরু। আর গরমকালে ঠান্ডা পানীয় খেতে পছন্দ করেন বেশিরভাগ মানুষ। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি গোলাপ শরবত বাজারে এনেছে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ। গরম পড়তেই পতঞ্জলির গোলাপ শরবতের চাহিদা হু হু করে বেড়েছে। তবে এই শরবত তৈরি করে প্রচুর লাভ করা পতঞ্জলির উদ্দেশ্য নয়। মানুষের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়াই যোগগুরু রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণের পতঞ্জলির প্রধান উদ্দেশ্য।
গরমে গোলাপ শরবতের পাশাপাশি খসের শরবত ও বেলের শরবতও বাজারে আনে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ। তাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়, ভাল পণ্য তৈরি করে মানুষের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের শুরুর সময়ই যোগগুরু রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণ স্পষ্ট করে দেন যে তাঁদের কোম্পানি এমন পণ্য তৈরি করবে, যা মানুষের কাছে আয়ুর্বেদের সুবিধাগুলি পৌঁছে দেবে। মানুষের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখবে। লাভ করা পতঞ্জলির মুখ্য উদ্দেশ্য নয়।
পতঞ্জলি এখন ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস সেক্টরের অন্যতম বড় কোম্পানি। তারা চাইলে কোলা, কার্বনেটেড কিংবা সোডা জাতীয় পানীয় তৈরি করতে পারত। তাতে তাদের লাভ আরও বাড়ত। কিন্তু, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। গরমে মানুষের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে গোলাপের শরবত, খসের শরবত ও বেলের শরবত নিয়ে এসেছে বাজারে।
পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ তাদের গোলাপ শরবত প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে প্রস্তুত করে। এর জন্য সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে গোলাপ কেনে। ফলে ফুল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিয়ে উচ্চ গুণমানের শরবত তৈরি করা হয়।
আবার পতঞ্জলির গোলাপ শরবত প্রস্তুতের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বেশিরভাগ গোলাপই জৈব পদ্ধতিতে চাষ হয়। শরবতে গোলাপের সঙ্গে অন্যান্য ঔষধি জড়ি-বুটি মেশানো হয়। এগুলো গরমে আপনাকে ঠান্ডার অনুভূতি দেয়।