হরিদ্বার: পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ে হোলি ঘিরে উৎসবের আমেজ। সেজে উঠেছে গোটা ক্যাম্পাস চত্বর। আয়োজন হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠানেরও। বৃহস্পতিবার, এই প্রসঙ্গেই একটি বিবৃতি জারি করে তারা। সেখানে বলা হয়, বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য বাবা রামদেব ও উপাচার্য বালকৃষ্ণ তদারকিতেই প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গনে আয়োজন হয়েছে হোলির। এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বসন্ত নবসৃষ্ট’।
তবে পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই হোলি কিন্তু সাধারণের থেকে অনেকটা আলাদা। হোলি বা দোল মানেই রঙের খেলা। নানা রঙে মাখামাখির মধ্যে দিয়েই উৎসব পালন। সারাবছরের বেরঙিন জীবনে, রঙের ছোঁয়া দেয় হোলি। তবে পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই হোলির সংজ্ঞা একটু অন্যরকম।
সেখানে রং তো থাকছেই, সেই সঙ্গেই আবার যোগ হচ্ছে ‘পুষ্পবৃষ্টি’। এদিন রঙের সঙ্গেই একে অপরের দিকে ফুল ছোড়াছুড়ির করতে দেখা গেল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ও অন্যান্য কর্মীদেরও। আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাবা রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণও।
এদিন এই পবিত্র উৎসবে যোগ দিয়ে রামদেব বলেন, ‘হোলি শুধু রঙের খেলা নয়। এটা সামাজিক সম্প্রীতি, ভালবাসা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সর্বপরী মন্দের বিরুদ্ধে ভালর জয়ের প্রতীকও।’ এরপরই তিনি পড়ুয়াদের কাছে আর্জি রেখে বলেন, ‘হোলির সময় আমাদের শরীর থেকে বাজে চিন্তা, আত্ম বিস্মৃতিকে দূরে ঠেলে দেওয়া উচিত। আমাদের সত্যের পথ, ধর্মের পথে চলা উচিত।’ পাশাপাশি এদিন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বালকৃষ্ণ হোলিকে ‘অহংকার মুছে ফেলার’ মাধ্যম হিসাবে তকমা দেন।