কর্নাটক: সাধারণ মানুষ চিকিৎসকদের ‘ভগবান’ বলে মনে করে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের অবহেলা রোগীদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়। ঠিক যেভাবে চিকিৎসকের ভুলে ৬ বছর ধরে যন্ত্রণার শিকার হলেন এক মহিলা। একটি অপারেশনের পর থেকেই এই যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। তবে কী কারণে এমন হচ্ছে, সেটাও কোনও পরীক্ষাতেই ধরা পড়ছিল না।
কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা এক মহিলা এই পরিস্থিতির শিকার হন। বছর ২০ আগের সেই ঘটনায় অবশেষে ন্যায়বিচার পেয়েছেন সেই মহিলা। অভিযুক্ত দুই চিকিৎসককে জরিমানাও দিতে হয়েছে। কর্নাটকের কনজিউমার ডিসপুট রিড্রেসাল কমিশম হাসপাতালের দুই ডাক্তারকে মহিলার আইনি খরচ হিসেবে ৫০,০০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অভিযোগকারিণীর নাম পদ্মাবতী। এছাড়া বিমা সংস্থাকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে অপারেশন হয় পদ্মাবতীর। তখন পদ্মাবতীর বয়স ছিল ৩২ বছর। অ্যাপেনডিক্স অপারেশনের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। দুই চিকিৎসক সেখানে তাঁর অপারেশন করেন। অস্ত্রোপচারের পর অ্যাপেনডিক্স অপসারণ করা হয়। কিন্তু পদ্মাবতী চিকিৎসকদের জানান, অপারেশনের পরের দিন তাঁর প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে কিছু পেইনকিলার দেন। কিন্তু তাতেও স্বস্তি পাননি ওই রোগী।
পেট ও পিঠের যন্ত্রণা না কমায় একই হাসপাতালে দু’বার ভর্তি হয়েছিলেন পদ্মাবতী। তবে যন্ত্রণার কারণ বুঝতে পারেননি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সমস্যার সমাধান না হলে ২০১০ সালে পদ্মাবতী অন্য একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। স্ক্যান করে জানা যায়, তাঁর পেটের পিছন দিকে অপারেশনে ব্যবহার করা একটি সূচ থেকে গিয়েছিল। আবারও অস্ত্রোপচার করে তাঁর পেট থেকে ৩.২ সেন্টিমিটারের একটি সূচ বের করা হয়। এরপরই সমস্ত প্রমাণ সহ কমিশনে অভিযোগ জানান ওই মহিলা। তারপরই তাঁকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।