
নয়াদিল্লি: তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বসে বৈঠকের একদম শেষ সারিতে। রবিবার সংসদ ভবনের জিএমসি বালাযোগী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল বিজেপির কর্মশালা। যেখানে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির প্রায় সকল সাংসদেরাই। যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এমনকি, সেই কর্মশালায় যোগ দিয়ে তাঁকে বসতে দেখা যায় একেবারে শেষের সারিতে।
কিন্তু কী নিয়ে এই কর্মশালা?
রবিবার থেকে শুরু হওয়া কর্মশালায় আলোচনার বিষয় একাধিক। কিন্তু কেন্দ্রবিন্দু একটাই ‘বিকাশ’। দেশের উন্নয়ন, সাংসদদের মধ্য়ে শৃঙ্খলা তৈরি, তৃণমূল স্তরে নেমে কাজ-সহ একাধিক বিষয় নিয়েই রবিবারের কর্মশালায় আলোচনা হয়েছে। কীভাবে ২০২৭ সালের মধ্য়ে দেশকে উন্নয়নের মাপকাঠিতে আরও এক ধাপ তুলে ধরা যাবে, কিংবা কীভাবে সাংসদরা সমাজমাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের কাছে পৌঁছে যাবেন, আলোচনা হয়েছে সেই প্রসঙ্গেও।
কর্মশালার প্রথমদিনের সভায় ‘রাজনৈতিক’ গন্ধ পাওয়া না গেলেও, তা রয়েছে দ্বিতীয় দিনে। সেদিনের আলোচনার বিষয় বৃহত্তর, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। মঙ্গলে নির্বাচন। তার আগে এই কর্মশালাই সাংসদদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার শেষ মাধ্যম। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ভোট দিতে যাওয়া সাংসদদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। সাধারণ ভাবেই, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন গোপন ব্যালটে হওয়ার কারণে তাতে ক্রস-ভোটিং বা এদিকের ভোট ওদিকে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। যা রুখতে তৎপর বিজেপি। কর্মশালা থেকেই দেওয়া হতে পারে পাঠ।