‘নতুন চ্যালেঞ্জ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের’, কান্নাভেজা গলাতেই নমোর বার্তা

দেশের করোনা টিকাকরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, "টিকাকরণের দায় একা কেন্দ্রের উপর বর্তায় না। এটি রাজ্য ও কেন্দ্রের যুগ্ম দায়িত্ব।"

'নতুন চ্যালেঞ্জ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের', কান্নাভেজা গলাতেই নমোর বার্তা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: ANI
Follow Us:
| Updated on: May 21, 2021 | 1:48 PM

নয়া দিল্লি: নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে দাড়িয়ে রয়েছে ভারত, তার জন্য যথোপযুক্ত প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের বারাণসীর স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে করোনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভেঙে পড়েন প্রধানমন্ত্রী, তবে পরের মূহুর্তেই নিজেকে সামলে নিয়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

নিজের বিধানসভা আসন বারাণসীর স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা মোকাবিলায় ভূমিকার প্রশংসা করেই যোগী রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি করোনা সংক্রমণে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

করোনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, “এই ভাইরাস কত মানুষকে আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিল। যাঁরা করোনা সংক্রমণে নিজেদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার সমবেদনা ও সম্মান রইল।” এই কথা বলতে গিয়েই গলা ধরে আসে প্রধানমন্ত্রীর। এক মুহূর্তের জন্য থেমে নিজেকে সামলে নেন তিনি।

এরপরই ফের আবার পুরোনো ছন্দেই ফিরে বলতে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের করোনা টিকাকরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “টিকাকরণের দায় একা কেন্দ্রের উপর বর্তায় না। এটি রাজ্য ও কেন্দ্রের যুগ্ম দায়িত্ব।” একইসঙ্গে তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়েও সতর্ক হতে বলেন স্বাস্থ্যকর্মীদের। নরেন্দ্র মোদী বলেন, “করোনাযুদ্ধের মাঝেই নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, এর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।”

এর আগে  মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে ১১ রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকেও ভ্যাকসিনের অপচয় রোখার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন তিনি বলেন, “টিকাকরণ আমাদের প্রথম সারির যোদ্ধাদের করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিয়েছে। আগামিদিনে আমরা সকলের কাছে করোনা টিকা পৌঁছে দেব।”

আরও পড়ুন: দেরীতে দ্বিতীয় ডোজ়ে লাভই বেশি, মিলবে ৩০০ শতাংশ অধিক অ্যান্টিবডি, দাবি গবেষণায়