
নয়াদিল্লি: বুধে লোকসভায় অনুমোদন, বৃহস্পতিতে রাজ্যসভায়। অবশেষে শুক্রবার মিলল দেশের রাষ্ট্রপতির অনুমোদন। মাত্র ৭২ ঘণ্টায় ‘দ্য প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’ পরিণত হল আইনে। তবে বিরোধীদের এই নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই এমনটা নয়। বৃহস্পতিবার সংসদের উচ্চ কক্ষে এই বিল ধ্বনিভোটে পাশ হতেই বিরোধীরা দাবি করেন, তাদের সঙ্গে বিল নিয়ে কোনও আলোচনার পথেই যায়নি শাসক শিবির।
তবে সেই সব অভিযোগকে পেরিয়ে সদ্য লোকসভায় পেশ হওয়া অনলাইন গেমিং বিল পরিণত হল আইনে। আর তখনই প্রহর গুনতে শুরু করে দিল একাধিক অনলাইন মানি গেমিং সংস্থারা। যাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘সামাজিক ব্যাধী’ রূপেই চিহ্নিত করেছেন। কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী এই অ্যাপগুলিকে ‘সামাজিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ বলে দাগিয়েছেন।
কিন্তু কতটা ক্ষতিকর?
Dream11, MPL-এর মতো অ্যাপগুলিকে প্রায় প্রতিবছরই হয়ে ওঠে IPL-এর অন্যতম স্পনসর। অর্থাৎ যারা সেই খেলায় টাকা ঢালে। কিন্তু এই টাকা তারা আয় করে কোথা থেকে? উত্তর, সাধারণ মানুষ। এই সকল ফ্য়ান্টাসি গেমিং অ্যাপে প্রতি মাসে ভারতে গড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। খোদ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এই অ্যাপগুলির কারণে প্রায় ৪৫ কোটি ভারতীয় নিজেদের কষ্টার্জিত ২০ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছেন।
শুধুই টাকার হিসাব নয়, এই ফ্যান্টাসি অ্যাপের কথা উঠলে উঠে আসে মানসিক স্বাস্থ্যের কথাও। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই মানি গেমিং অ্যাপগুলি মানুষকে একটা এমন ঘোরের মধ্যে ফেলে দেয় যে তার প্রভাব পড়ে তাদের ব্য়ক্তিগত জীবনেও। সুতরাং, এগুলির বন্ধ হওয়া প্রয়োজনীয় বলেই মত একটা বড় অংশের মানুষের।
অবশ্য, কেন্দ্রের আনার এই বিল রাষ্ট্রপতি অনুমোদন পাওয়ার আগেই Winzo, PokerBaazi-র মতো বহু অ্য়াপ পাততাড়ি গুটিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। জনপ্রিয় মানি গেমিং অ্যাপ Dream11 তাদের অবস্থান না জানালেও, MPL, Zupee-রাও নিজেদের পেইড গেম বন্ধ করার কথাই ঘোষণা করেছে।