Pune Yerwada Hospital: চিকিৎসায় বিভীষিকা? ইয়েরওয়াড়ায় দুর্নীতি না অশরীরী!
Pune Mental Hospital: পুনের ইয়েরওয়াড়া মানসিক হাসপাতাল সম্পর্কে চালু রয়েছে বেশ কিছু ভূতুড়ে গল্পও। শোনা যায় এখানে নাকি বিকৃত কণ্ঠস্বর অস্বাভাবিক শব্দ বা পায়ের শব্দ শোনা যায়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে রোগীদের ভোয়ের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথাও শোনা যায়।

পুনের ইয়েরওয়াড়া মানসিক হাসপাতাল। এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এখন শুধু চিকিৎসার জন্য নয়, খবরের শিরোনামে আসছে প্রশাসনিক ব্যর্থতায়। অগস্ট ২০২৫। চারজন রোগী পাঁচিল টপকে উধাও। আর তার পরেই সামনে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা বলছেন, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির জেরে হাসপাতালের সীমানা প্রাচীরই নাকি তৈরি হয়নি ঠিকমতো। আর এই ঘটনায় সাসপেন্ড হন ৬ জন কর্মী।
আপনি কি জানেন, ২০২৪-এর অগস্টে বাংলার এক শ্রমিকের সঙ্গে কী ঘটেছিল এখানে? সুস্থ থাকা সত্ত্বেও সেই বাঙালি যুবককে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ সাজিয়ে এই হাসপাতালেই আটকে রাখা হয়েছিল। শুধুমাত্র বকেয়া মজুরি চাওয়াই ছিল তাঁর অপরাধ। কয়েকমাস নরকবাসের পর ভাইয়ের চেষ্টায় উদ্ধার হন তিনি।
এই হাসপাতাল সম্পর্কে চালু রয়েছে বেশ কিছু ভূতুড়ে গল্পও। শোনা যায় এখানে নাকি বিকৃত কণ্ঠস্বর অস্বাভাবিক শব্দ বা পায়ের শব্দ শোনা যায়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে রোগীদের ভোয়ের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথাও শোনা যায়। এ ছাড়াও বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন ওই মানসিক হাসপাতালের কর্মীরাও।
হাসপাতালের ভেতরে বর্তমানে ১০০০-এর বেশি আবাসিক রয়েছেন। অথচ পরিকাঠামোর অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। ড্রেনেজ সিস্টেম সেই শতবর্ষ প্রাচীন। আর তার সঙ্গে রয়েছে নিরাপত্তার অভাব। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। তবে মুদ্রার উল্টো পিঠও আছে। প্রায় ২০০ জন রোগী ইতিমধ্যেই অনেকটা সুস্থ। আর এইভাবে তাঁদের সমাজে ফেরানোর কাজও চলছে এখানে।
এই মানসিক হাসপাতালের রহস্যময় ‘ভৌতিক’ গল্পের চেয়েও এখানকার প্রশাসনিক অন্ধকার অনেক বেশি গভীর। এই অব্যবস্থা কি শুধুই অবহেলা, নাকি বড় কোনও আর্থিক তছরুপের ফল? এই প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
