
নয়াদিল্লি: স্বস্তি কিন্তু তাও স্বস্তির নয়। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় যেন সাময়িক বিরতি পেল কংগ্রেস সাংসদ সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার দিল্লির একটি আদালতেই ধারা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে সাময়িক ভাবে ছাড় পেলেন সনিয়া ও রাহুল-সহ পাঁচ অভিযুক্ত। ইডির চার্জশিট গ্রহণ করল না সংশ্লিষ্ট আদালত।
সম্প্রতি দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় চার্জশিট দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু মঙ্গলবার সেই চার্জশিট খারিজ করে দিয়েছেন রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিশেষ বেঞ্চের বিচারক বিশাল গোগনে। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ইডি আর্থিক তছরুপ আইন বা PMLA-এর আওতায় চার্জশিট দাখিল করেছে। কিন্তু ন্যাশনাল হেরাল্ড নিয়ে হওয়া অভিযোগ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পরিসরে। তাই এটাতে দায়ের হওয়া আইনত ধারাগুলি সঠিক নয়।
সূত্রের খবর, বিচারকের এই যুক্তি মানতে নারাজ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের প্রতিনিধিরা। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্ভবত রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে চ্য়ালেঞ্জ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন আদালতে কংগ্রেসের হয়ে সওয়ালকারী সাংসদ তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘এই মামলায় একটা টাকাও নয়ছয় হয়নি, আমি এজলাসে সেই বিষয়টি তুলে ধরেছিলাম। তাই এই মামলায় PMLA বা আর্থিক তছরুপের ধারা দায়ের করা যায় না।’
উল্লেখ্য়, জহরলাল নেহরুর হাতে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র নিয়ে ২০১৩ সালে মনমোহন সিংহের জমানাতেই প্রথম দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। পরবর্তীতে এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সেই অভিযোগের প্রসঙ্গই উঠে এল মঙ্গলের শুনানিতে।