নয়া দিল্লি: বেজে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। সব রাজ্যেই শেষবেলার প্রচারে ঝাঁপ দিয়েছে শাসক-বিরোধী সব দলই। আসন্ন লোকসভায় ভাল ফল করতে যেমন মরিয়া কংগ্রেস, তেমনই বিজেপির অন্দরে স্লোগান এইবার চারশো পার হবেই। প্রচারে ঝড় তুলতে কয়েক দফায় বাংলা থেকেও ঘুরে গিয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসতে করেছেন সভা। কিন্তু, মাটি ছাড়তে নারাজ হাত শিবিরও। এরইমধ্যে ৫ দফা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে দিলেন রাহুল গান্ধী।
কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে ৩০ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে। সরকারে আসার পরেই এর মধ্যে ৯০ শতাংশ শূন্য পদ পূরণ করা হবে। আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হবে এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের। বলছে কংগ্রেস। অন্যদিকে কংগ্রেস জমনাতেই মনরেগা (MGNREGA) চালু হয়েছিল। এবার ক্ষমতায় এলে একইভাবে আইন করে Apprenticeship এর অধিকার চালু করার কথা বলছে কংগ্রেস। প্রত্যেক গ্রাজুয়েট বা ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরোনোর পরই এক বছর কোন বেসরকারি সংস্থায় Apprenticeship করার সুযোগ পাবেন। এই সময়কালে এক লক্ষ টাকা ভাতা পাবেন শিক্ষানবিশরা। সোজা কথা শিক্ষানবিশরা একাধারে যেমন কাজ শেখার সুযোগ পাবেন তেমনই কিছু টাকা উপার্জনেরও সুযোগ থাকছে।
জোর দেওয়া হবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোখার বিষয়েও। কংগ্রেস বলছে তাঁরা সরকারে এলে এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন আনবে। পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ঠিক করে দেওয়া হবে। কোনও বেসরকারি সংস্থার থেকে পরীক্ষা করানোর জন্য কোন আউটসোর্সিং করা হবে না।
‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়ার’ মত প্রকল্প চালু করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু এক্ষেত্রে মাত্র ২-৩ জন কোটিপতি সুবিধা ভোগ করছে। কংগ্রেসের সরকার গঠন হলে পাঁচ হাজার কোটি টাকা স্টার্টআপ ফান্ড তৈরি হবে। প্রত্যেক জেলাভিত্তিক এই ফান্ড আলাদা করে ব্যবহার করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কংগ্রেস। একইসঙ্গে দেশজুড়ে অসংগঠিত বা চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী বা শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আইন আনার কথাও বলছে হাত শিবির। এর আগে অশোক গেহলটের সরকার রাজস্থানে এই আইন এনেছিল।