
জয়পুর: সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলের ছড়াছড়ি। রিল বানাতে নানা ঝুঁকি নিতে দেখা যায়। তা বলে বাবা হয়ে শিশুকন্যার জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলা! মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ভিডিয়ো বানাতে কোনও নিরাপত্তা ছাড়াই শিশুকন্যাকে জলাধারে লোহার বিমের উপর বসালেন। নিচে শুধু জল আর জল। কোনওভাবে দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধারের সম্ভাবনা প্রায় নেই। সেখানে নিজের মেয়ের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে ভিডিয়ো বানালেন এক ব্যক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করলেন। ঘটনাটি রাজস্থানের।
জানা গিয়েছে, রাজস্থানের ভরতপুর জেলায় বন্ধ বারাইঠা জলাধারে ওই ভিডিয়োটি তোলা হয় গত ৪ জুলাই। উমা শঙ্কর নামে এক ব্যক্তি স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে নিয়ে ওই জলাধারে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানেই এই ভিডিয়ো তোলেন তিনি।
ভিডিয়োতে দেখা যায়, নিচে বয়ে চলেছে জল। আর জলাধারের উপরে একটি লোহার বিমে মেয়েকে বসানোর চেষ্টা করছেন ওই ব্যক্তি। শিশুকন্যাটি ভয়ে প্রথমে বাবার হাত আঁকড়ে ধরে। তা সত্ত্বেও শিশুকন্যাকে সেই বিমের দিকে যেতে বলেন উমা শঙ্কর। ধীরে ধীরে সেখানে বসে ওই শিশুকন্যা। তখন তার বাবা হাত ছেড়ে দেয়। ভিডিয়োতে দেখা যায়, হাসিমুখে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শিশুকন্যার মা। তিনিও স্বামীকে কিছু বলেননি। শিশুকন্যাটি লোহার বিমের উপর বসার পর ওই ব্যক্তি তাঁকে ক্যামেরার দিকে তাকাতে বলেন। ১৬ সেকেন্ডের ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরই সরব হন অনেকে। এভাবে শিশুকন্যার জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলায় উমা শঙ্করের সমালোচনা শুরু হয়। তারপরই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ডিলিট করে দেন ওই ব্যক্তি।
বন্ধ বারাইঠা জলাধার একটি স্থানীয়দের কাছে একটি পর্যটনকেন্দ্রের মতো। বিশেষ করে বর্ষাকালে জলাধারে জল যখন উপচে পড়ে, তখন আশপাশের বাসিন্দারা সেখানে ভিড় জমান। আর সেই জলাধারেই ভিডিয়ো করার জন্য শিশুকন্যার জীবন এমনভাবে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ এখনও এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।