
নয়াদিল্লি: চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের ৯০০ কোটি টাকার সম্পত্তি। এও সম্ভব? রাঁচির সিএ-কে ঘিরে বিরাট অভিযোগ। তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মঙ্গলবার একযোগে তিন রাজ্যে অভিযানে নেমেছে ইডি। তল্লাশি চালাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি, বাণিজ্যনগরী মুম্বই এবং গুজরাটের সুরাটের বেশ কয়েকটি এলাকায়। এই তিনি রাজ্য়ের মধ্যে নাকি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রাঁচির সিএ-র সম্পত্তি। কিন্তু এই সিএ-র পরিচয়টা কী? কোনও উৎস ধরে বিপুল সম্পত্তির মালিক সে?
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম নরেশ কেজরিওয়াল। ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা তিনি। মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতেই হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। অবশ্য, তাঁর বিরুদ্ধে যে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের হয়েছে, এমনটা নয়। বরং বিদেশি মুদ্রা অবৈধ লেনদেন আইন বা ফেমা অ্যাক্টের আওতায় তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
রাঁচির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কয়েক কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে এই বিপুল সম্পত্তি তৈরি করেছেন নরেশ। ইতিমধ্য়েই তাঁর বিরুদ্ধে আরব আমিরশাহি, নাইজেরিয়া এবং আমেরিকা জুড়ে বেনামী শেল কোম্পানির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। হাওয়ালার কাজেই এই সংস্থাগুলিকে নরেশ ব্যবহার করতেন বলেই মনে করছে ইডি। পাশাপাশি, নরেশের পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামেও বহু সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি।
তাঁর এই হিসাববহির্ভূত সম্পত্তি যে ৯০০ কোটি টাকার মধ্যেই সীমিত রয়েছে, এমনটা নয়। সম্প্রতি নরেশের থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারী। একটি ভুয়ো টেলিগ্রাফিক লেনদেনের মাধ্যমে সেই টাকা ভারত আনিয়েছেন নরেশ। সেই সূত্র ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে ময়দানে নামে ইডি।