ভারতের ডিফেন্স সিস্টেমের সামনে ভেঙে টুকরো টুকরো পাকিস্তানের ‘ফতেহ ২’ মিসাইল! কতটা ক্ষমতা ফতেহ-র?
ফতেহ সিরিজের আপগ্রেডেড ভার্সনের মিসাইল ফতেহ-২। সেটাকেও মাঝ-আকাশেই ধ্বংস করেছে ভারত। কতটা ক্ষমতা ফতেহ মিসাইলের?

পাকিস্তানের বেয়াদপি থামার নয়। শয়ে শয়ে ড্রোন হামলার পর এবার ভারতের স্ট্র্যাটেজিক লোকেশনকে টার্গেট করে ‘ফতেহ ২’ মিসাইল ছুড়ল পাকিস্তান। ভাঙতে এসেছিল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে। উল্টে নিজেই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। বিদেশমন্ত্রক ও ভারতীয় সেনার যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘ফতেহ ২’ মিসাইলকে হরিয়ানার সিরসা-য় মাঝ-আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ভারতের লং রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল (LR-SAM) বারাক-৮ মিসাইল সিস্টেম ধ্বংস করে ফতেহ-২ কে। কোনও ভারতীয় সেনাঘাঁটিরই কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এখন প্রশ্ন হল, কী এই ফতেহ-২ মিসাইল? কতটা ক্ষমতা রয়েছে এর?
ফতেহ ২ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল পাকিস্তানেরই তৈরি করা একটি গাইডেড আর্টিলারি রকেট। চারবছর আগে, ২০২১-এর ডিসেম্বরে পাক সেনা প্রথম এই মিসাইলের আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষা করে। ফতেহ সিরিজের ফতেহ ১-এর আপগ্রেডেড ভার্সন এটি। যার পাল্লা বেশি ও টার্গেটকেও আরও নির্ভুলভাবে নিশানা করতে পারে। পাকিস্তান দাবি করে এটা তাদেরই তৈরি কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলে এই দাবি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। চিনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হয়।
ফতেহ ২ মিসাইলের রেঞ্জ ২৫০-৪০০ কিলোমিটার মতো। মানে লাহোর থেকে ছুড়লে প্রায় দিল্লি পর্যন্ত চলে আসতে পারে ফতেহ ২। মূলত শত্রুর সেনা ছাউনি, রেডার, সামরিক ঘাঁটিকে ধ্বংস করতেই এই মিসাইল ব্যবহার করা হয়। এতে টার্মিনাল গাইডেন্স সিস্টেম থাকে বলে, দেগে দেওয়ার পরেও এই মিসাইলের দিশা বদলানো যায়। স্যাটেলাইট গাইডেন্সের মাধ্যমে মহাপথেও কোর্স কারেকশন করা যায়। ফতেহ ২ মোবাইল লঞ্চার থেকে ছোড়া যায়।
ফতেহ ২-এর ‘সার্কুলার এরর প্রবেবল’ মাত্র ১০ মিটার। মানে যেখানে নিশানা করে, তার আশেপাশের ১০ মিটারের বেশি ক্ষয়ক্ষতি করে না। আগে থেকে ঠিক করে রাখা কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করতেই এই ধরনের মিসাইল ব্যবহার করা হয়। আর পাঁচটা মিসাইলের মতো বেঁকে নয়, সোজাসুজি পথে আসে বলে একে ধ্বংস করা কঠিন হয়। একে বলে ফ্ল্যাট ট্র্যাজেক্টরি। তবে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সামনে হার মানতে হয়েছে ফতেহ-২ কেও।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, ভারতের ভাঁড়ারে ফতেহ-২-এর জবাব দেওয়ার মতো কী কী মিসাইল রয়েছে?
ভারতের আর্সেনালে বহু মিসাইল থাকলেও ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের জুড়ি মেলা ভার। ৪৫০ কিলোমিটারেরও বেশি পাল্লা, শব্দের চেয়ে ৩ গুণ জোরে ছোটে এই মিসাইল। রয়েছে চিরাচরিত যুদ্ধের জন্য ভারতের প্রথম ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘প্রলয়’। ৫০০ কিমি পাল্লার এই মিসাইল রয়েছে সর্বাধুনিক ন্যাভিগেশন সিস্টেম। শর্ট রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইলের মধ্যে রয়েছে পৃথ্বী ১ ও ২। প্রহার রয়েছে। রয়েছে ধনুষ। তবে ব্রহ্মাস্ত্র হল অগ্নি সিরিজের ICBM অগ্নি -৫। ৫০০০ কিলোমিটার পাল্লা, পরমাণু হামলার ক্ষমতা সম্পন্ন।