AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Delhi Blast: এক সুতোয় বাঁধা পুলওয়ামা হামলা ও দিল্লির বিস্ফোরণ? শাহিনের নেটওয়ার্ক ঘিরে উঠছে প্রশ্ন

Delhi Blast Terror Accused Doctor: কেউ কেউ বলেন, জইশদের মহিলা ব্রিগেড বা জামাত-উল-মোমিনাত তৈরি হয়েছে এই আফিরার অনুরোধেই। সে অবশ্য কোনও বড় পদে নেই। তবে বেশ কিছু সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, তার সঙ্গে ভালই যোগ ছিল ফরিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হয় শাহিনের। সম্ভবত তার সুপারিশেই ভারতীয় প্রধানের পদ পেয়েছিল শাহিন। তবে এই সবটাই এখনও ভাসা-ভাসা।

Delhi Blast: এক সুতোয় বাঁধা পুলওয়ামা হামলা ও দিল্লির বিস্ফোরণ? শাহিনের নেটওয়ার্ক ঘিরে উঠছে প্রশ্ন
বাঁদিকে আফিরা বিবি, ডান দিকে শাহিন সাইদImage Credit: X
| Updated on: Nov 13, 2025 | 7:38 PM
Share

নয়াদিল্লি: যত সময় পেরোচ্ছে, দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে ততই যেন স্পষ্ট হচ্ছে জইশ-যোগ। তবে কি অপারেশন সিঁদুরের প্রত্য়াঘাতে গোটা পরিবার হারানোর বদলা নিল জঙ্গি মাসুদ আজ়হার? ফরিদাবাদ বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় চিকিৎসক শাহিন সাইদ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শাহিন কোনও সাধারণ কেউ নয়, তা বুঝতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা ব্রিগেডের ভারতীয় প্রধান সে। সুতরাং তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ ভাবেও মাসুদ আজ়হারের যোগ রয়েছে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।

শুধুই মাসুদ নয়, শাহিনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে আরও একজনের। যার মনে রয়েছে ক্ষোভ, স্বামী হারানোর রোষ। নাম আফিরা বিবি। আফিরা সম্পর্কে ২০১৯ সালে পুলওয়ামা সন্ত্রাস হামলার মাস্টারমাইন্ড উমর ফারুখের স্ত্রী। এই উমর আবার জইশ-প্রধান মাসুদের ভাইপো। অর্থাৎ, সব জল গিয়ে মিলছে এক জায়গায়। উমর অবশ্য বেঁচে নেই। ভারতীয় সেনার হাতে খতম হয়েছে ওই জঙ্গি কমান্ডর। তার মৃত্যুর পরেই জইশ-ই-মহম্মদে নাম লেখায় আফিরা।

কেউ কেউ বলেন, জইশদের মহিলা ব্রিগেড বা জামাত-উল-মোমিনাত তৈরি হয়েছে এই আফিরার অনুরোধেই। সে অবশ্য কোনও বড় পদে নেই। তবে বেশ কিছু সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, তার সঙ্গে ভালই যোগ ছিল ফরিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হয় শাহিনের। সম্ভবত তার সুপারিশেই ভারতীয় প্রধানের পদ পেয়েছিল শাহিন। তবে এই সবটাই এখনও ভাসা-ভাসা।

প্রসঙ্গত, শাহিনের সন্ত্রাস যোগ ভাবিয়েছে তদন্তকারীদেরও। সে কোনও পিছিয়ে পড়া ঘরের মেয়ে নয়। বাবা ছিলেন সরকারি কর্মচারী। নিজে কাজ করেছে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে। কৃতী ছাত্রী। বছর ২৫ আগে ডাক্তারির পড়াশোনা শেষ করে যোগ দিয়েছিল কানপুরের জেএসভিএম মেডিক্যাল কলেজে। সেটা ২০১৩ সালে ঘটনা। তার আগে ২০০৯-২০১০ সাল পর্যন্ত কাজ করেছে কনৌজের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু গত সোমবার সেই চিকিৎসকের বাড়ি থেকে কেজি কেজি বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। গ্রেফতার করল ‘হোয়াইট কলার জঙ্গিকে’।