
অমৃতসর: পুলিশি হেফাজত থেকে পলাতক বিধায়ক। ধর্ষণ ও প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত পঞ্জাবের শাসকদল বা আম আদমি পার্টির বিধায়ক হরমিত সিং ধিলন পাঠানমাজ্রাকে খুঁজতে নেমে পড়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি। কিন্তু কীভাবে পালিয়ে গেল অভিযুক্ত?
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবারের সনৌরের বিধায়ককে যখন স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, সেই সময় হঠাৎ নিজের সাঙ্গপাঙ্গদের ডেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ওই অভিযুক্ত বিধায়ক। আহত হন বেশ কয়েকজন। তারপর একটি SUV চেপে দ্রুত এলাকাছাড়া হয় অভিযুক্ত। এই গাড়ি নিয়ে রওনা দেওয়ার সময় একজন পুলিশকে প্রায় চাপাই দিয়ে দেয় ধর্ষণে অভিযুক্ত বিধায়ক।
উল্লেখ্য, কেজরির দলের বিধায়কের কাণ্ডে হুলুস্থুল পড়েছে গোটা পঞ্জাব জুড়ে। শাসকদলে বেড়েছে অস্বস্তি। তবে এই প্রসঙ্গে এখন ভগবন্ত মান সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, অভিযুক্ত বিধায়কের সঙ্গে দলের সম্পর্ক খুব একটা ভাল নয়। আপের মধ্যে তিনি বরাবরই ‘প্রতিবাদী মুখ’।
সনৌরের ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ২০২১ সালে ফের জিরাকপুরের এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে করেন । পরবর্তীতে কয়েক বছর পর ওই মহিলাই তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ এবং ব্ল্যাকমেল-সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করেন। তবে সেই সকল অভিযোগকে কোনও দিনই মান্যতা দিতে চাননি অভিযুক্ত বিধায়ক। তাঁর সাফ কথা, এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
এমনকি, FIR দায়ের হতেই এই বিধায়ক নিজের সমাজমাধ্যমে লাইভ করে দিল্লি নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি দাবি করেন, দলের শীর্ষনেতাদের কাজের প্রতিবাদ করায় তাকে পাকেচক্রে এই মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। বিধায়কের কথায়, “ওরা আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারে। আমি জেলেও চলে যেতে পারি। কিন্তু আমি প্রতিবাদ চালিয়ে যাবই।” অবশ্য জেলে তিনি যাননি, তার আগেই পালিয়েছেন।