
নয়াদিল্লি: দেশের অর্থনীতির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’-র লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। আর দেশের উন্নয়নে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও সমান অবদান রাখছে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ যে ক্রমশ বাড়ছে, সেই ছবি ধরা পড়েছে ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেসেও(IAS)। ২০২৩ IAS ব্যাচে মহিলাদের হার ৪১ শতাংশ। রবিবার ২০২৩ ব্যাচের আইএএস ট্রেনিদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ, জনসাধারণের অভিযোগ ও পেনশন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বললেন, এটাই নতুন ভারতের আকাঙ্ক্ষা।
২০২৩ আইএএস ব্যাচে ১৮০ জন অফিসার রয়েছেন। তার মধ্যে মহিলা IAS-এর সংখ্যা ৭৪। অর্থাৎ ২০২৩ আইএএস ব্যাচে মহিলাদের হার ৪১ শতাংশ। এই ১৮০ জন আইএএস অফিসার ট্রেনিদের জন্য ১ এপ্রিল থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে নয়াদিল্লিতে। এই কর্মসূচি চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় সরকারের ৪৬টি মন্ত্রকের কাজ নিয়ে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
রবিবার এই কর্মসূচিতে আইএএস অফিসার ট্রেনিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদৃষ্টির প্রশংসা করেন তিনি। মোদীর জমানায় মহিলাদের জন্য বিভিন্ন উদ্য়োগ গতি পেয়েছে জানিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মহিলা ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী সবসময় চ্যাম্পিয়ন। ২০২৩ আইএএস ব্যাচের মহিলাদের হারই তার সাক্ষী।”
যুব আমলাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ২০১৫ সালে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি প্রোগ্রামের সূচনা করা হয়েছিল। কর্মজীবনের শুরুতে যুব আমলাদের সরকারি কাজকর্মের বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই কর্মসূচি চালু করা হয় বলে জিতেন্দ্র সিং জানান। করোনাকালে জেলা স্তরে সংকট মোকাবিলায় আইএএস ট্রেনিরা দুর্দান্ত কাজ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিভিল সার্ভিসেসে এখন পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির প্রতিনিধিত্ব বাড়ছে। আগে এইসব রাজ্য থেকে খুবই কম সংখ্যক প্রতিনিধিত্ব থাকত। ২০২৩ আইএএস ব্যাচের আমলাদের গড় বয়স ২২ থেকে ২৬ বছর। ফলে তাঁরা অনেকদিন দেশের সেবা করতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন জিতেন্দ্র সিং। তিনি বলেন, “আইএএস অফিসারদের এই ব্যাচ শুধু কনিষ্ঠতম ও বৈচিত্র্যে ভরা নয়, নতুন ভারতের আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধি তাঁরা। আপনাদের কাজের মধ্য দিয়ে কোটি কোটি মানুষের আশা প্রতিফলিত হোক।”