‘লাল কেল্লা আমাদের’, হাইকোর্টে গিয়ে অধিকার চেয়ে বসলেন মুঘলদের পুত্রবধূ!
Mughal: ১৮৫৭ সালে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে, ব্রিটিশরা পরিবারকে তাঁদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছিল এবং সম্রাটকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। এ ছাড়া লাল কেল্লার দখল জোর করে মুঘলদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
নয়া দিল্লি: একসময় দিল্লি মসনদে ছিলেন মুঘল সম্রাটরা। বংশ পরম্পরায় শাসন করেছেন তাঁরা। সেই মুঘল আমলের স্থাপত্য সহ অনেক শৌধ আজও বিদ্যমান। তাই বলে এত বছর পর হঠাৎ সেই মুঘলদের বংশধর এসে সম্পত্তির দাবি জানাবেন, এটা বোধহয় প্রত্যাশা করেননি কেউই। তাও আবার আস্ত লাল কেল্লা। যে শৌধের সামনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে বক্তব্য রাখেন, সেই শৌধ দাবি করে বসলেন এক মহিলা।
সুলতানা বেগম। মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর-II-এর প্রপৌত্রের পুত্রবধূ ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি স্বামীহারা। দিল্লি হাইকোর্টে গিয়ে তিনি দাবি করে বসেছেন, লাল কেল্লা তাঁদের, তাই তাঁকে সম্পত্তির অধিকার দেওয়া হোক। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিভু বাখরু এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চ শুক্রবার ওই আবেদন খারিজ করে দেয়। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সিঙ্গল বেঞ্চ ওই মহিলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল।
ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, “আড়াই বছরের বেশি সময় পর এই আবেদন করা হয়েছে, যা মেনে নেওয়া যায় না।” বেগম জানান যে তিনি তাঁর অসুস্থতার জন্য এবং তাঁর মেয়ের মৃত্যু হওয়ায় আবেদন জানাতে পারেননি। এই আবেদন অপ্রাসঙ্গিক বলেও উল্লেখ করেছে আদালত। উল্লেখ্য, ২০২১-এর ২০ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বেআইনিভাবে দখল করা লাল কেল্লার মালিকানা চেয়ে আবেদন করেছিলেন বেগম।
অ্যাডভোকেট বিবেক মোরের মাধ্যমে দায়ের করা পিটিশনে দাবি করা হয়েছে যে ১৮৫৭ সালে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে, ব্রিটিশরা পরিবারকে তাঁদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছিল এবং সম্রাটকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। এ ছাড়া লাল কেল্লার দখল জোর করে মুঘলদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আরও দাবি করা হয়েছে যে বেগম লাল কেল্লার মালিক কারণ তিনি এটি তাঁর পূর্বপুরুষ বাহাদুর শাহ জাফরের থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। বাহাদুর শাহ জাফর (দ্বিতীয়) ১৮৬২ সালের ১১ নভেম্বর ৮২ বছর বয়সে মারা যান।
পিটিশনে আরও বলা হয়েছে যে আবেদনকারীকে লাল কেল্লার অধিকার হস্তান্তর করতে হবে বা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ১৮৫৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সরকার যে লাল কেল্লা দখল করেছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয় আবেদনে।