ওএলএক্সে চড়া দামে বিকোচ্ছে রেমডেসিভির, খুল্লামখুল্লা কালোবাজারি করোনাকালে

যেসব ব্যক্তিরা আগে থেকে এই অ্যান্টি ভাইরাল ইঞ্জেনশন কিনে রেখেছিলেন, তারাই এখন সুযোগ বুঝে চড়া দামে তা বিক্রি করতে চাইছেন। যে কারণেই এই প্রতিষেধকের কালোবাজারি খুল্লামখুল্লা চলছে।

ওএলএক্সে চড়া দামে বিকোচ্ছে রেমডেসিভির, খুল্লামখুল্লা কালোবাজারি করোনাকালে
ছবি- টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Apr 16, 2021 | 10:42 PM

নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভারতে ধাক্কা মারতেই বাজার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে রেমডেসিভির। করোনা চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী এই ইঞ্জেকশনের চাহিদা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কয়েক ঘণ্টা করে দোকানের বাইরে লাইন দিতে হচ্ছে তা পাওয়ার জন্য। তবে জোগান নিয়ে টানাটানির মধ্যে অন্য একটি ছবি উঠে এসেছে যা দেখে তাজ্জব নেটিজেনরা। বিখ্যাত বিজ্ঞাপনী ওয়েবসাইট ওএলএক্সে ৬০০০ টাকা করে রেমডেসিভির ইঞ্জেকশনের ডোজ বিক্রি করছেন গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের গুটিকতক বাসিন্দা।

এমন একটা সময় যখন গোটা দেশে এই ইঞ্জেকশনের চাহিদা তুঙ্গে এবং প্রয়োজন রয়েছে এমন অনেক ব্যক্তি তা পাচ্ছেন না, সেই সময় রেমডেসিভিরের কালোবাজারি অবাক করেছে চিকিৎসক মহলকেও। মনে করা হচ্ছে, যেসব ব্যক্তিরা আগে থেকে এই অ্যান্টি ভাইরাল ইঞ্জেনশন কিনে রেখেছিলেন, তারাই এখন সুযোগ বুঝে চড়া দামে তা বিক্রি করতে চাইছেন। যে কারণেই এই প্রতিষেধকের কালোবাজারি খুল্লামখুল্লা চলছে।

যে ব্যক্তি ৬০০০ টাকায় রেমডেসিভির বিক্রি করছিলেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। মুম্বইয়ের আন্ধেরির ঠিকানা দেওয়া থাকলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। সত্যম নামের অপর এক ব্যক্তি যিনি গুজরাটের বাসিন্দা, তিনি রেমডেসিভিরের প্রতিটি ডোজ ১৪০০-১৬০০ টাকায় বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। তাঁর কাছে মোট ১০০ টি ডোজ মজুত রয়েছে বলেও ওই ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছেন ওই যুবক। যদিও এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, ওএলএক্সে ওষুধ বিক্রি করা যায় না। তা সম্পূর্ণ বেআইনি। তা সত্ত্বেও কীভাবে এই চক্র চলছে তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে।

আরও পড়ুন: বাজারে অমিল রেমডেসিভির? এক ক্লিকেই জানা যাবে কোথায় পাওয়া যাচ্ছে এই ওষুধ

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতেই দেশজুড়ে রেমডেসিভির ও ফ্যাবিপিরাভির নামক দু’টি ওষুধ, যা করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তার আকাল দেখা দিয়েছে। সেই সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এর কালোবাজারিও শুরু করে দিয়েছে। অতি সম্প্রতি রেমডেসিভির ইঞ্জেকশনের কালোবাজারির জন্য দু’জন ব্যবসায়ীকে হাতেহাতে গ্রেফতার করে মধ্য প্রদেশ এসটিএফ। কিন্তু, তারপরও যে সেই প্রবণতা কমেনি তা আজকের ঘটনায় আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছি।