দেবভূমিতে ধ্বংসলীলা! জোশীমঠে এখনও অবধি উদ্ধার ১৪ মৃতদেহ, নিখোঁজ ১৭০

Feb 08, 2021 | 9:32 AM

শনিবার রাত ১০ টা ৫৫ মিনিটে জোশীমঠে হিমবাহ ভেঙে পড়ার খবর আসে। ফোনে খবর পাওয়ার পরই রাত ১১ টা ১১ মিনিটে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

দেবভূমিতে ধ্বংসলীলা! জোশীমঠে এখনও অবধি উদ্ধার ১৪ মৃতদেহ, নিখোঁজ ১৭০
জোশীমঠে চলছে উদ্ধারকাজ।

Follow Us

উত্তরাখণ্ড: জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। জোশীমঠ জুড়ে শুধুই ধ্বংসের চিহ্ন। রবিবার রাতভর উদ্ধারকাজ চালিয়েছে আইটিবিপি। এখনও অবধি ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। হদিশ নেই ১৭০ জনের। ১৩টি গ্রাম একেবারে বিচ্ছিন্ন। প্রকৃতির রোষে তছনছ হয়ে গিয়েছে তপোবন বাঁধ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পিপলকোটি পাওয়ার প্রজেক্ট, ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্প। বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশেষজ্ঞ দল। অন্যদিকে চামোলি নদীতে জল বাড়তে থাকায় উত্তরাখণ্ডজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে পুলিশ।

২০১৩ সালে কেদারনাথের স্মৃতি উসকে ফের গত শনিবার দেবভূমিতে আছড়ে পড়ে বিপর্যয়। এদিন রাত ১১টা নাগাদ জোশীমঠ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে তপোবন ও রাইনি গ্রামের কাছে শুরু হয় মেঘভাঙা বৃষ্টি। ভেঙে পড়ে নন্দাদেবী হিমবাহের একটি অংশও। এরপরই উপচে পড়ে ঋষিগঙ্গা। নদীর বান দু’কূল ভাসিয়ে নামতে শুরু করে পাহাড়ি পথ ধরে। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় গ্রামের পর গ্রাম।

সোমবার সকাল থেকে স্নিফার ডগ নিয়ে গ্রাউন্ড জিরোয় চলছে তল্লাশি। ঘটনার সময় ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছিল। প্রায় ১৫০ জন শ্রমিক সেখানে ছিলেন। ইতিমধ্যেই টানেলে নেমে প্রাণের খোঁজ চলছে। ১২ জনকে উদ্ধারও করা সম্ভব হয়েছে। জেসিবি মেশিন দিয়ে চলছে উদ্ধার কাজ। জোশীমঠের মালারির কাছে একটি সেতু জলের স্রোতে সম্পূর্ণ ধুয়ে মুছে গিয়েছে। চামোলিতে নিশ্চিহ্ন পাঁচটি সেতু।

Next Article