
পটনা: মগধভূমের ভোটে আরও চওড়া হয়েছেন নীতীশ-মোদী। জয় ঘোষণা এখন সময়ের অপেক্ষা। বিকাল ৪টে পর্যন্ত পাওয়া আপডেট অনুযায়ী, মোট ২৪৩টি আসনের মধ্য়ে তারা এগিয়ে রয়েছেন ২০৭টি আসনে। বিহারের পর এবার বাংলা, আপাতত এটাই বার্তা গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু আসনের নিরিখে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও, ভোটের নিরিখে এগিয়ে আরজেডি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৪৩টি আসনে প্রার্থী দিয়ে মোট ২২ শতাংশ ভোট পেয়েছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল। অন্যদিকে বিজেপির ভোট শতাংশ ২০.৯৮ শতাংশ। অবশ্য প্রার্থী দেওয়ার নিরিখেও ১০১টি আসন বেছে নিয়েছিল। তাই ভোট পাওয়ার পরিমাণ কম হওয়াটাও স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ তো গেল আরজেডি, বিজেপির কথা। বাকিদের কী হাল?
বিজেপির মতোই নীতীশের দল জেডিইউ প্রার্থী দিয়েছিল মোট ১০১টি আসনে। তাঁদের ভোট শতাংশ দাঁড়িয়েছে ১৮.৮৭ শতাংশ। কংগ্রেসের মোট প্রাপ্ত ভোট ৮.৩৪ শতাংশ। এই ভোট পাওয়ার নিরিখে বেজায় কঠিন অবস্থা বামেদের। শূন্যের ছুঁইছুঁই অবস্থা তাঁদের। সিপিআই পেয়েছে ০.৬৫ শতাংশ। সিপিআইএম পেয়েছে ০.৫৬ শতাংশ। সিপিআইএমএল লিবারেশন পেয়েছে ৩.১৪ শতাংশ। ভোট বাতিল বা নোটায় ভোট পড়েছে ১.৮২ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, এই বছরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মগধভূমের শাসনে ফিরেছে নীতীশ-মোদীর জুটি। শুধুই ফিরেছে নয়, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় হাসিল করেছে তাঁরা। অন্যদিকে বিরোধী জোট, তাঁরা যেন ঢুকে গিয়েছে আইসিইউ-তে। অন্যান্য রাজ্য়গুলির মতো বিহারেও অস্তিত্ব সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের।