
নয়াদিল্লি: মোদীর পর কে? এই প্রশ্ন আজকের নয়। একাংশের রাজনীতিক মনে করেন, বাজপেয়ীর পর বিজেপির এত পরিচিত এবং জনপ্রিয় মুখ বলতে নরেন্দ্র মোদী। এই তালিকায় অবশ্যই লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো নেতারা রয়েছেন, কিন্তু যাঁরা রাজনীতি নিয়ে চর্চা করেন না, তাঁদের মনেও এই দু’টি নাম গেঁথে রয়েছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তি ভাঙিয়ে কতদিন? তারপর কে ধরবে হাল? বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের মধ্যেকার সেতুটাই বা কে হবে?
মঙ্গলবার এমনই একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল সরসঙ্ঘচালক মোহন ভগবতের দিকে। চেন্নাইয়ে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবকের শতর্বর্ষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর দিকে এই প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়। যার উত্তরে আপাতত তৈরি করেছে নানা রাজনৈতিক গুঞ্জন।
এদিন তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু প্রশ্ন আমার এক্তিয়ার বহির্ভূত। তাই সেই সব প্রশ্ন নিয়ে আমি কোনও উত্তর দিতে চাই না। আমি কেবল শুভকামনা করতে পারি। আর মোদীর পর কে, সেটা তো বিজেপি এবং খোদ মোদীজির সিদ্ধান্ত।’ কিন্তু যে বিজেপির অন্দরের প্রায় প্রতিটি সিদ্ধান্তে সঙ্ঘ পরিবারের একটি ‘অলিখিত অংশীদারিত্ব’ থাকে, সেই বিজেপির উত্তরসূরি বাছাইয়ের পর্বেই তা সঙ্ঘ পরিবারের ‘এক্তিয়ার বহির্ভূত’ হয়ে গেল কেন? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ওয়াকিবহাল মহল।
কেউ কেউ বলছেন, আসলে নয়াদিল্লি এবং নাগপুরের দূরত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। একাধিক সাংগঠনিক রদবদল, উত্তরসূরি বাছাই কিংবা দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কৌশলগত সিদ্ধান্ত প্রতিটি বিষয়েই নাগপুরের অংশীদারিত্ব আগের তুলনায় কমেছে। অবশ্য এই ফাটল নিয়ে কখনও খোলাখুলি মন্তব্য করেনি কোনও পক্ষই। উল্টে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে মোহন ভগবতের মুখেই শোনা গিয়েছে, ‘মতভেদ থাকতে পারে, মনমালিন্য নয়।’ তা হলে সেই মতভেদ কি এবার মনমালিন্য পেরিয়ে গিয়েছে?