
ভোপাল: রক্ত নেবেন, রক্ত? শুনতে মোটেই সাধারণ নয়। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের সামনে আপাতত দেদারে বিক্রি হচ্ছে সেটাই। রক্ত-ব্যাঙ্কে যাদের ‘অভাব’ মিটছে না, তারাই গিয়ে দ্বারস্থ হচ্ছে এই ‘বিক্রেতা’দের কাছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম NDTV-র বিশেষ তদন্তে ধরা পড়ল এই কাণ্ড। সে রাজ্যের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল হামিদিয়া হাসপাতালের সামনেই নির্দ্বিধায় চলছে রক্তের কালো-বাজারি। নেপথ্যে রয়েছে কাদের মদত? কাদের থেকেই বা এই রক্ত জোগাড় করছে দুষ্কৃতীরা? প্রশ্ন একাধিক।
কিন্তু কীভাবে চলছে এই চক্র?
সেই প্রতিবেদনের দাবি, যারা রক্তের খোঁজে হাসপাতালে চত্বরে যারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাদের চিহ্নিত করার কাজ কয়েকজন অটো চালকের। তারাই রোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
কোন গ্রুপের রক্ত লাগবে, কত ইউনিট লাগবে, সেই খোঁজ নিতে অটো চালকদের মাধ্যমে রোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি। রুমাল দিয়ে ঢাকা মুখ, নিরাপত্তার খাতিরে মাথায় পরা হেলমেট।
এদিন A+ গ্রুপের রক্ত না পেয়ে হাসপাতালের সামনেই উদ্বিগ্ন চোখে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এক নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ব্যক্তি। তার সঙ্গে নিজের উদ্যোগেই যোগাযোগ করে চোরা-চক্রের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীরা। আগাম হিসাবে ৫০০ টাকা নেয়। তারপর তার হাতে মোট ২৪০০ টাকার বিনিময়ে ধরিয়ে দিয়ে যায় সেই নির্দিষ্ট গ্রুপের রক্ত।
কিন্তু এরা কারা? এই নিয়ে বিশদ কোনও তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। একাংশের অভিযোগ, এই রক্তের কালো বাজারিতে যুক্ত রয়েছে হাসপাতালের সামনে থাকা বেশ কয়েকটি ওষুধের দোকানও। এছাড়াও যোগ থাকতে পারে একাংশের চিকিৎসকেরও।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি এসে রক্ত দিয়ে গিয়েছিলেন। তার দাবি, মধ্য প্রদেশের চিরায়ু থেকে ভোপাল সমস্ত হাসপাতালের সামনেই নাকি তাদের রক্ত চালান হয়ে থাকে। রমরমিয়ে চলে অবৈধ-ব্যবসা।