নয়াদিল্লি: পাকিস্তানে ভারতীয় বন্দি সরবজিত সিংকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৩ সালে লাহোরে জেলের ভিতর তাঁকে মারা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সরবজিতের হত্যাকারী হিসাবে উঠে আসে আমির সরফরাজ তাম্বার নাম। এবার তাঁকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল। এক অজ্ঞাত পরিচয় তাঁকে খুন করেছে বলে জানা গিয়েছে। ২৬/১১র ‘মাস্টার মাইন্ড’ হাফিজ সইদের খুব কাছের মানুষ হিসাবেই পরিচিত আমির সরফরাজ তাম্বা। তাঁকে লাহোরের ইসলামপুরা এলাকায় গুলি করে মারা হয় বলে অভিযোগ।
পঞ্জাবের তরণ তারণ জেলার বাসিন্দা ছিলেন সরবজিৎ সিং (৪৯)। ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় তাঁর বাড়ি। ১৯৯০ সালে পাকিস্তান সীমান্ত থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ ছিল, ওয়াঘা সীমান্তে জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন সরবজিৎ, আর ফেরেননি। প্রাথমিকভাবে তাঁর উপর বেআইনিভাবে পাক সীমান্তে ঢুকে পড়ার অভিযোগ তোলে ইসলামাবাদ। এরপর এক মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়ে জেলবন্দি করে রাখার অভিযোগ ওঠে।
১৯৯১ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে কোট লাখপত জেলে পাঠানো হয়। সে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে গেলেও বিচার পাননি। দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড। সরবজিতের দিদি দলবীর কৌর সবরকম লড়াই করেছিলেন ভাইকে ফিরিয়ে আনতে। ওদিকে পাকিস্তানের জেলে সরবজিতের উপর নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। কোমায় চলে যান তিনি। ভারতের তরফে বারবার তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করা হয়। অন্তত পক্ষে অন্য কোনও দেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর দাবি ওঠে। শোনেনি পাকিস্তান। ১ মে লাহোরে মারা যান সরবজিৎ।
STORY | Indian prisoner Sarabjit Singh’s killer shot dead by gunmen in Pakistan
READ: https://t.co/mQD9V4a9i8 pic.twitter.com/oGUWa9xfpd
— Press Trust of India (@PTI_News) April 14, 2024
সরবজিৎ হত্যায় তাম্বার নাম জড়িয়েছিল। গ্রেফতারও হন। তবে পাকিস্তানের আদালত ২০১৮ সালে তাঁকে নির্দোষ বলে ছেড়ে দেন। সেই তাম্বাকে গুলি করে খুন করা হয় বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। এদিকে এই খবর সামনে আসার পরই এক্স হ্যান্ডেলে অভিনেতা রণদীপ হুডা একটি পোস্ট করেন। লেখেন, ‘কর্ম। ধন্যবাদ ‘অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি’। আমার বোন দলবীর কৌরকে মনে পড়ছে। স্বপনদীপ ও পুনমকে ভালবাসা। আজ সর্বজিতের প্রতি কিছুটা ন্যায় করা গেল।’ প্রসঙ্গত, সরবজিতের বায়োপিক হয়েছিল। সেখানে সরবজিতের ভূমিকায় ছিলেন রণদীপ হুডা।