
নয়াদিল্লি: বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য ফেরাতে আদানি গোষ্ঠীকে অধিকাংশ সম্পত্তি বিক্রি করে দিতে চায় সাহারা গোষ্ঠী। মহারাষ্ট্রে ৮ হাজার ৮১০ একর জমির উপর বিস্তৃত অ্যাম্বি ভ্যালি, লখনউয়ের সাহারা শহর-সহ মোট ৮৮টি সম্পত্তি বিক্রি করে দিতে চায় সংস্থা। গতমাসেই সুপ্রিম কোর্টের কাছে সেই নিয়ে অনুমতি চেয়েছিল তাঁরা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কি অনুমতি দেবে? কিংবা অনুমতি দিলে এই হস্তান্তরের প্রক্রিয়াই বা কবে শুরু হবে?
সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশের বেঞ্চে উঠেছিল সেই প্রশ্নগুলিই। সঙ্গে উঠেছিল আরও একটি প্রসঙ্গ। যা জুড়ে রয়েছে কেন্দ্রের সঙ্গে। সাহারার সম্পত্তি বিক্রি আবেদনে অন্যতম অংশীদার কেন্দ্র। নয়াদিল্লির কাছে সম্পত্তি বিক্রির জন্য অনুমতি চেয়েছে প্রয়াত সুব্রত রায়ের সাহারা ইন্ডিয়া কমার্সিয়াল কর্পোরেশন বা এসআইসিসিএল। কিন্তু সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এখনও নিজেদের অবস্থান জানায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। যার জেরে ঝুলে রয়েছে সাহারা।
এই আবহে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে সময় চাইলেন কেন্দ্রের হয়ে সওয়ালকারী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সাহারা আবেদনের ভিত্তিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য কেন্দ্র ও দেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি-কে আরও একটু সময় দেওয়ার আর্জি জানালেন তিনি।
কেন্দ্রের এই আবেদন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য় ছয় সপ্তাহের সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বলে রাখা প্রয়োজন, এই মামলায় অ্য়ামিকাস কিউরি হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন আইনজীবী শেখর নাফাদে। এই অ্যামিকাস কিউরি হল, ‘আদালতের বন্ধু’, এনারা বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকেন না। বরং আদালতকে সেই মামলা সংক্রান্ত বাড়তি তথ্য প্রদান করেন।
সোমের শুনানি পর্বে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, ‘সাহারা একাধিক সম্পত্তি বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। তাই স্বচ্ছ লেনদেনের জন্য সেবির উচিত এই ৮৮টি সম্পত্তি নিয়ে মানুষের কোনও অভিযোগ থাকলে, তা গ্রহণ করা।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমি এমনও অভিযোগ পেয়েছি, এই ৮৮টি সম্পত্তির মধ্যে এমন কিছু সম্পত্তি রয়েছে, যা সাহারা আগেই বিক্রি করে দিয়েছে।’