
নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারতে থাকা সমস্ত পাকিস্তানি নাগরিককে সেদেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তারপর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে সীমা হায়দারকে নিয়ে। পাকিস্তানের নাগরিক সীমা এখন ভারতের বউমা। প্রেমের টানে পাকিস্তানে স্বামীকে ছেড়ে ভারতে এসে সচিন মীনা নামে এক যুবককে বিয়ে করেছেন। মায়ের সঙ্গে ভারতে এসেছে সীমার চার সন্তানও। ভারত সরকারের নতুন নির্দেশের পর এখন সীমার প্রথম স্বামী গুলাম হায়দার চাইছেন, তাঁর চার সন্তানকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাক নয়াদিল্লি। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছেন সীমা। তাঁকে জেলে পাঠানো উচিত।
এক ভিডিয়ো বার্তায় গুলাম হায়দার বলেন, “গত ২ বছর ধরে ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছেন সীমা। যাঁরা ভিসা নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন, তাঁদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আর সীমা অবৈধভাবে বাস করলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর চার সন্তান পাকিস্তানি। তারা সীমার সঙ্গে রয়েছে। তাদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর দাবি জানান গুলাম।
গুলাম আরও বলেন, “আমার সঙ্গে সীমার এখনও বিচ্ছেদ হয়নি। ফলে এখনও আমরা স্বামী-স্ত্রী। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে।” সীমার আইনজীবী এপি সিংকেও আক্রমণ করেন গুলাম। তিনি বলেন, নিজের প্রচারের জন্য সীমার মামলা লড়ছেন ওই আইনজীবী।
সীমার আইনজীবীকে আক্রমণ করে গুলাম হায়দার বলেন, “যখন আমার সন্তানদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারত সরকারের কাছে দাবি জানাই, সীমার আইনজীবী বলেন, আমি নাকি সন্তানদের মেরে ফেলব। আমার সন্তানরা আমার হৃদয়। তাদের জন্য অনেক কিছু করেছি। তারা পাকিস্তানের সন্তান।”
পাকিস্তানি নাগরিকদের সেদেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আবেদন জানিয়ে সীমা হায়দার বলেছিলেন, “আমি পাকিস্তানের মেয়ে ছিলাম। কিন্তু এখন আমি ভারতের পুত্রবধূ। আমি পাকিস্তানে ফিরতে চাই না।”