
হায়দরাবাদ: কারও সন্তান হয়তো কর্মসূত্রে দূরে থাকেন। কারও কোনও পরিজন নেই। শহরের বিভিন্ন প্রান্তেই দেখা যায়, বাড়িতে শুধু বয়স্করা। একাকিত্ব অনেক সময় তাঁদের গ্রাস করে। সেই একাকিত্ব কাটাতে বয়স্কদের পাশে দাঁড়াতে এল ‘সিনিয়র সাথী’। তেলঙ্গানার হায়দরাবাদে শুরু হয়েছে ‘সিনিয়র সাথী’-র পথ চলা। বৈজ্ঞানিক উপায়ে কীভাবে প্রবীণদের একাকিত্ব কাটিয়ে হাসিখুশিতে রাখা যায়, তারই দিশা দেখায় ‘সিনিয়র সাথী’।
হায়দরাবাদের জেলা কালেক্টর হরিচন্দনা দাসারি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইয়ংগিস্তান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ‘সিনিয়র সাথী’-র পথচলা। স্বাধীনভাবে বসবাসকারী প্রবীণ নাগরিকদের মানসিক অবক্ষয় রোধ করাই এর উদ্দেশ্য।
যৌথ পরিবার ভারতের পরম্পরা হলেও বর্তমানে কর্মসূত্রে অনেককে বাবা-মাকে ছেড়ে দূরে যেতে হয়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রবীণদের মধ্যে একটা অংশ একাকিত্ব ও বিষণ্ণতায় ভোগেন। তাঁদের সেই একাকিত্ব কাটাতে ‘সিনিয়র সাথী’-র উদ্যোগ। কী হবে এই সিনিয়র সাথীতে? প্রবীণদের সঙ্গে সপ্তাহান্তে দেখা করবেন সিনিয়র সাথীর ভলান্টিয়াররা। কোনও সিনিয়র সাথী ক্লাবে তাঁরা দেখা করবেন। গল্পগুজব করবেন। প্রবীণরা নিজেদের কথা শেয়ার করবেন। হয়তো একসঙ্গে তাঁরা খবরের কাগজ পড়লেন। ক্যারম খেললেন। মেতে উঠবেন আনন্দে। এভাবেই একাকিত্ব কাটবে প্রবীণদের। চিকিৎসকদের মতে, একাকিত্ব অকালমৃত্যুর ঝুঁকি ২৬-২৯ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। সেই ঝুঁকিই কমাবে সিনিয়র সাথী।
শুধু তাই নয়, প্রবীণদের কোনও আইনি সহায়তার প্রয়োজন হলে, তখনও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে সিনিয়র সাথী। হায়দরাবাদ শহর কেবল একটি প্রযুক্তিগত শক্তি হিসেবে নয়, বরং সহানুভূতিশীল শহরের নিদর্শনও তুলে ধরে বিশ্বব্যাপী মডেল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে।