
শ্রীনগর: ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন সীমান্তে বিনা প্ররোচনায় গোলাবর্ষণ পাকিস্তান সেনার। সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলিও চালায়। পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণ ও গুলিতে সীমান্ত এলাকার ১০ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বিনা প্ররোচনায় এই গোলাবর্ষণের জন্য পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাব দিয়েছে ভারত। বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের কোনও নাগরিকের উপর আঘাত হানেনি ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান সেনার পরিকাঠামোকেও লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হয়নি। ভারত শুধু জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে।” সেখানে পাকিস্তান সেনার ভারতের নিরীহ নাগরিকেদর উপর হামলার সমালোচনা করেন তিনি। সীমান্তের জেলাগুলির জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলেন বলে জানান ওমর আবদুল্লা। পরিস্থিতি নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য নেন।
পাকিস্তান সেনার গুলি ও গোলাবর্ষণে যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে ১২ বছরের এক কিশোরী এবং ১০ বছরের এক নাবালক রয়েছে। মৃত কিশোরীর নাম জোয়া খান। এবং নাবালকের নাম মহম্মদ জৈন। বাকি মৃত ৮ জন হলেন মহম্মদ আদিল, সেলিম হুসেন, রুরি কৌর, মহম্মদ আক্রম, অমৃক সিং, রণজিৎ সিং, মহম্মদ রফি এবং মহম্মদ ইকবাল।
এদিকে, পাকিস্তান সেনার এই গোলাবর্ষণের পর সীমান্ত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। পরিস্থিতির উপর তিনি নজর রাখছেন বলে জানান। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত বলে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন উপরাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর এই নিয়ে ১৩ বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান।