Stampede: মন্দিরে শোভাযাত্রার সময় হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৭
Stampede: শিরগাওয়ে লাইরাই দেবী মন্দিরে প্রতি বছর শোভাযাত্রা হয়। একে শ্রী দেবী লাইরাই যাত্রা বলা হয়। সেই শোভাযাত্রাতেই ভক্তরা ভিড় করেছিলেন।

পানাজি: শোভাযাত্রার ভিড়ের চাপে হুড়োহুড়ি। তখনই ঘটে গেল বিপর্যয়। গোয়ার একটি মন্দিরে বার্ষিক শোভাযাত্রার সময় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৭ জনের। আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ভোর রাতে শিরগাও গ্রামে শ্রী লাইরাই দেবী মন্দিরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্দিরের বার্ষিক এই শোভাযাত্রার জন্য গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের হাজার হাজার ভক্ত জড়ো হয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ তদন্তের পরই বলা যাবে। দুর্ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত। আহতদের দেখতে হাসপাতালেও যান তিনি। দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডলে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “লাইরাই যাত্রায় পদপিষ্টের ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত। আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সবরকম সাহায্য করা হবে।” প্রধানমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন জানিয়ে তিনি লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।” দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে জানান, খবর পাওয়ার পরই ৫টি অ্যাম্বুল্যান্স দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। উত্তর গোয়া হাসপাতালে আরও ৩টি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা গুরুতর। ২ জনকে গোয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা প্রত্যেক আহতর শারীরিক অবস্থার দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছি। ভেন্টিলেটর-সহ ICU প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত চিকিৎসকও রয়েছেন সবরকম পরিস্থিতি মোকাবিলায়।”
প্রত্যেক বছর মে মাসে শিরগাও যাত্রা হয়। গরম কয়লার উপর দিয়ে হাঁটেন ভক্তরা। তিন রাজ্য থেকে হাজার হাজার ভক্ত জড়ো হন। দিনভর নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়। মধ্যরাতে ভক্তরা মন্দিরের মধ্যে গোল হয়ে নাচেন। নাচের শেষে মন্দিরের সামনে কয়লা বিছানো পথে আগুন ধরানো হয়। ভোরে আগুন নিভে গেলে ওই গরম কয়লার উপর দিয়ে খালি পায়ে হাঁটেন ভক্তরা। কেউ কেউ একাধিক বার হাঁটেন। ওই উত্তপ্ত কয়লার উপর দিয়ে হাঁটার পর ভক্তরা গলার মালা একটি বট গাছে রেখে বাড়ি যান। এভাবেই সকালে শেষ হয় এই উৎসব।

