
নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। সাতচল্লিশ সালে দেশভাগের পর সিন্ধ প্রদেশ পাকিস্তানের অধীনে চলে যাওয়া সিন্ধি হিন্দুরা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি জানিয়ে রাজনাথের বার্তা, “কে জানে, কাল হয়তো সিন্ধ ভারতে ফিরে আসতে পারে।” এই মন্তব্যে রাজনাথ কী বার্তা দিলেন, তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা।
রবিবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন রাজনাথ। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর সিন্ধি হিন্দুরা ভারতে চলে আসেন। কারণ সিন্ধ প্রদেশ পাকিস্তানে পড়ে যায়। কিন্তু, আডবাণীর প্রজন্মের সিন্ধি হিন্দুরা ভারতের থেকে সিন্ধের বিচ্ছেদ যে মেনে নিতে পারেননি, সেকথা উল্লেখ করে আডবাণীর একটি বই থেকে উদ্ধৃতি তুলে ধরেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “লালকৃষ্ণ আডবাণী তাঁর একটি বইতে লিখেছেন, সিন্ধি হিন্দু বিশেষ করে তাঁর প্রজন্মের লোকেরা ভারত থেকে সিন্ধের আলাদা হয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি।”
এরপরই ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “আজ সিন্ধের ভূমি ভারতের অংশ নয়। কিন্তু, সভ্যতাগত দিক থেকে সিন্ধ সবসময় ভারতের অংশ থাকবে। আর ভূখণ্ডের কথা বললে সীমান্ত বদলাতে পারে। কে জানে, কাল হয়তো সিন্ধ ভারতে ফিরে এল।” এখানেই না থেমে তিনি বলেন, “সিন্ধে আমাদের লোকেরা, যাঁরা সিন্ধু নদীকে পবিত্র মনে করেন, তাঁরা সবসময় আমাদের থাকবেন। তাঁরা কোথায় রয়েছেন, সেটা কোনও ব্য়াপার নয়।”
গুজরাট ও রাজস্থানের সঙ্গে সীমান্তে রয়েছে সিন্ধের। সেই সিন্ধই ভারতের সঙ্গে জুড়তে পারে বলে বার্তা দিলেন রাজনাথ। এর আগে রাজনাথ বার্তা দিয়েছিলেন, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ হবে।