নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কেড়ে নিচ্ছে একের পর প্রাণ। কত সংখ্যক দেশবাসী যে আপনজন হারিয়েছেন, তার ইয়ত্তা নেই। নিজের মানুষ হারানোর পরও যাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্য রয়েছেন, তাঁরা বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু যেসব শিশুর বাবা-মা ছাড়া আর কেউ নেই? ছোট্ট বয়েসেই যারা একূল-ওকূল হারিয়ে অকুল পাথারে পড়ছে, সেই নিষ্পাপ প্রাণগুলির কী হবে? এই অসহায় প্রাণগুলির পাশে দাঁড়াতেই এ বার বড় নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
কম বয়সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাবা-মা মারা যাচ্ছেন, অথচ তাঁদের রেখে যাওয়া একমাত্র ছেলে বা মেয়েটিকে দেখার কেউ নেই। গোটা দেশে এই ধরনের যে কতগুলি ঘটনা ঘটেছে, তা হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এ দিন কড়া বার্তা দিয়ে একটি টুইট করেছেন স্মৃতি। কোন ব্যক্তি যদি এমন কোনও বাবা-মা হারা অসহায় শিশুর কথা জানতে পারেন তবে অবিলম্বে কী পদক্ষেপ করতে হবে সেটা টুইটে জানান স্মৃতি।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, এমন অবস্থায় ও শিশুটিকে প্রশাসন অথবা সেই জেলার শিশুকল্যাণ কমিটির কাছে সুরক্ষিতভাবে পৌঁছে দিতে হবে। তিনি লেখেন, ঠআপনি যদিও এমন কোনও বাচ্চার কথা জানতে পারেন যে কোভিডে নিজের মা-বাবাকে কোভিডে হারিয়েছে এবং তাকে দেখার কেউ নেই, তবে অবিলম্বে পুলিশ অথবা আপনার জেলার শিশুকল্যাণ কমিটিকে জানান। বা শিশুদের সাহায্য করার হেল্পলাইন ১০৯৮-এও ফোন করতে পারেন। আইনগতভাবে এটা আপনার দায়িত্ব।”
*IMPORTANT Thread*
If you come to know of any child who has lost both parents to COVID and has no one to take care of her/him, inform Police or Child Welfare Committee of your district or contact Childline 1098. It is your legal responsibility.
— Smriti Z Irani (@smritiirani) May 4, 2021
আরও পড়ুন: প্রাণের ভয়ে অসমে ঠাঁই নিয়েছেন বাংলার বিজেপি কর্মীরা, ছবি দেখিয়ে বিস্ফোরক দাবি হিমন্তের
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের ঘটনায় কোনও শিশুকে দত্তক নেওয়া বেআইনি। কোনও শিশু দুর্ভাগ্যবশত অনাথ হলে সেটা আগে প্রশাসনিক কর্তা এবং সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাতে হবে। যদি কোনও শিশুকে দত্তক নেওয়ার জন্য উড়ো ফোন আসে, তাতেও কর্ণপাত না করারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে পুনর্গণনা হচ্ছে না, সমস্যা থাকলে আদালতে যেতে বলল কমিশন