প্রয়াগরাজ: গুম হয়ে গেলেন মহাকুম্ভের ‘IIT-বাবা’। থাকতেন সোলা মণি আশ্রমের জুনা আখড়াতে। মহাকুম্ভে এসে আখড়ার ক্যাম্পেই ছিলেন তিনি। কিন্তু আপাতত খোঁজ মিলছে না তাঁর। কোথায় গিয়েছেন? আদৌ ফিরবেন? মেলেনি কোনও প্রশ্নের উত্তরই।
তিনি পড়াশোনা করেছিলেন ‘এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং’ নিয়ে। কাজ করেছিলেন দেশের ছোট-বড় একাধিক সংস্থায়। কর্মসূত্রে পাড়ি দিয়েছিলেন কানাডাতেও। মাসে নাকি আয় ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ৩৬ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। কিন্তু সে সবই ‘মায়া’ তাঁর কাছে। শান্তির খোঁজ তখনও পায়নি সে। তাই সব ছেড়ে, বহু পথ ঘুরে নিয়ে ফেলেন সন্ন্যাস। সাধু-সন্তদের সঙ্গে নিভৃতে জীবন কাটাতে শুরু করেন তিনি।
সম্প্রতি, গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর ত্রিবেণী মহাসঙ্গমে তীরে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে উৎসব। চলবে ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখ পর্যন্ত।
এক মাস ব্যাপী এই উৎসবে ভিড় জমিয়েছেন পুণ্যার্থীরা। দূর-দূরান্ত থেকে এসেছিলেন সাধু-সন্ত ও নাগা সন্ন্যাসীরাও। তাদের সঙ্গেই এসেছিলেন IIT বাবা বা অভয় সিংহ। মহাকুম্ভে যোগ দিয়েই মানুষের মন কাড়েন তিনি। নিজের পূর্ব জীবনের সাফল্যের কথা তুলে ধরতেই তাঁকে ঘিরে বাড়ে ভিড়। আলো-ক্যামেরা ঘিরে ধরে ‘IIT বাবা’কে। আর সেটাই যেন কাল হয় তাঁর জন্য।
অনেকদিন পর কুম্ভের মেলায় ‘ঘর পালানো’ ছেলের খোঁজ পেয়ে যায় বাবা-মা। সাধারণের ‘IIT বাবা’কে ঘরে ফেরাতে ছুটে আসেন তাঁর বাবা-মা। আর তখনই দেখেন যে ছেলে আবার ফেরার হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ‘IIT বাবা’র গুরু সোমেশ্বর পুরী মহারাজ জানান, হঠাৎই উধাও হয়ে গিয়েছে সে। জুনা আখড়ার আরও এক সাধু জানান, ‘বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁর আচরণে পরিবর্তন এসেছিল। এদিন আবার দেখি, হঠাৎ করে নিখোঁজের খবর ছড়িয়েছে তাঁর।’ তবে কারোর কারোর মত, বাবা-মা আসার বিষয়টা আগে টের পেয়ে গিয়েছিলেন ‘IIT বাবা’, তাই নিজের সন্ন্যাস জীবন অব্যাহত রাখতে ফের আত্মগোপন করে সে।