
কেরল: ৯২ বছর থেকে লড়াই করছেন বৃদ্ধা। ছেলে ভরপোষণের জন্য ২০০০ টাকা দিক, এর জন্য আইনি লড়াই লড়তে লড়তে মায়ের বয়স ১০০ বছরে পৌঁছেছে। এখনও আপত্তি ছেলের। সেই মামলায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করল কেরল হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘অন্য সন্তান আছে, এই অজুহাতে মায়ের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না কোনও সন্তান।’
ফ্যামিলি কোর্টের নির্দেশ ছিল, বৃদ্ধা মা’কে ২০০০ টাকা করে দিতে হবে ছেলেকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কেরল হাইকোর্টে মামলা করেন সেই ছেলে। সেই ছেলের যুক্তি, মা অপর সন্তানের সঙ্গে বসবাস করেন, আর সেই সন্তান মায়ের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে সক্ষম। তাই মায়ের ভরণপোষণের টাকা দিতে রাজি নন তিনি।
কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি পি ভি কুনহিকৃষ্ণনের বেঞ্চে চলছে ছিল সেই মামলার শুনানি। আবেদন শুনে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। সিঙ্গল বেঞ্চ স্পষ্ট বলে, “যদি অপর সন্তান মায়ের দেখাশোনা ঠিকভাবে না করে, যদি কোনও খারাপ ব্যবহার করে, তাহলে আবেদনকারীর উচিত মায়ের মায়ের দায়িত্ব নেওয়া, নাহলেই মানুষ বলেই গণ্য করা যায় না।”
২০২২ সালে আর্থিক সাহায্য করার নির্দেশ দেওয়া হলেও, এখনও পর্যন্ত সন্তান কিছুই দেয়নি মা-কে। কেন ১০০০ দিনের বেশি দেরী করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
আবেদন খারিজ করার সঙ্গে সঙ্গে কড়া পর্যবেক্ষণ কেরল হাইকোর্টের। আদালত বলেছে, “আবেদন করার সময় মায়ের বয়স ছিল ৯২ বছর। বর্তমানে তাঁর বয়স ১০০। এতদিন ধরে ছেলের সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করে যাচ্ছেন তিনি।” বিচারপতি আরও বলেন, “আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, এই সমাজের একজন সদস্য হিসেবে আমি লজ্জিত, যেখানে একজন ১০০ বছর বয়সী মা-কে ভরণপোষণের জন্য ছেলের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। আর ২০০০ টাকা দিতেও আপত্তি ছেলের।”