‘বিক্ষুব্ধ’ কংগ্রেসিদের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভবনা রাহুল-প্রিয়ঙ্কার
দলের ভূমিকা ও নেতৃত্বদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মনে ক্ষোভ পুষে রেখেছেন বহু শীর্ষ নেতা। সম্প্রতি কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদ, পি চিদাম্বরমের মতো কংগ্রেস নেতারা প্রকাশ্যে দলের সমালোচনা করাতেই টনক নড়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের।
নয়া দিল্লি: বিক্ষুব্ধদের মান ভাঙাতে তাঁদের সঙ্গে শনিবার আলোচনায় বসবেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। সূত্রের দাবি, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন রাহুল (Rahul Gandhi) ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও (Priyanka Gandhi)।
দলের ভূমিকা ও নেতৃত্বদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মনে ক্ষোভ পুষে রেখেছেন বহু শীর্ষ নেতা। সম্প্রতি কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদ, পি চিদাম্বরমের মতো কংগ্রেস নেতারা প্রকাশ্যে দলের সমালোচনা করাতেই টনক নড়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের। অগস্ট মাসে ২৩জন নেতার চিঠি পাওয়ার পর কর্মীদের ক্ষোভ যে চরমসীমায় পৌঁছেছে, তা বুঝতে পারে কংগ্রেস। চলতি মাসে ১৯ তারিখ কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
সূত্র অনুযায়ী, বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ (Kamal Nath)। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দলত্যাগের মাশুল দিয়ে মধ্যপ্রদেশে নিজে ক্ষমতা খোয়ালেও বর্তমানে দলের বিক্ষুব্ধদের বেঝানোর কাজ করছেন তিনি। তাঁর কথাতেই সোনিয়া গান্ধী বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন বলে দাবি।
আরও পড়ুন: মমতার পাশে কেজরীবাল, আইপিএস তলবকাণ্ডে নিশানায় কেন্দ্র
অগস্ট মাসে ২৩জন বিক্ষুব্ধ নেতা শীর্ষ নেতৃত্বকে যে চিঠি দিয়েছিলেন, তাতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হারের পর থেকে দলের গতিমুখ নিম্নমুখী হয়েছে এবং সংকট থেকে উদ্ধারে একজন সক্রিয় নেতৃত্বের প্রয়োজন। দলের ক্ষোভ মেটাতে গতবছর দলের সভাপতির পদ থেকে রাহুল গান্ধী পদত্যাগ করার পর কোনও যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে না পেয়ে সোনিয়া গান্ধীই দলের অন্তর্বর্তী সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
কর্নাটক ও মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর রাজস্থানেও গদি সংকটে পড়েছিল কংগ্রেস (Congress)। কোনও মতে শচীন পাইলট (Sachin Pilot)-কে বুঝিয়ে দলে ফেরত আনা হয়। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও বারংবার বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ এনেছেন।
গত মাসে বিহার নির্বাচনে কংগ্রেসের চুড়ান্ত খারাপ ফলের পর ফের দলের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কপিল সিব্বল (Kapil Sibal) জনসমক্ষেই দলের সমালোচনা করে বলেন, “অন্তর্বর্তী পর্যালোচনার সময় শেষ।” পরবর্তী সময়ে পি চিদাম্বরম (P Chidambaram)-ও দলের অভ্যন্তের যাবতীয় সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করার বার্তা দেন।
এই বৈঠকের পরই নতুন বছরে নতুন নেতৃত্ব পেতে পারে কংগ্রেস, এমনটাও জল্পনা শোনা যাচ্ছে। তবে সেই মুখ অ-গান্ধী পরিবারের কেউ হবেন কিনা, সেই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে নতুনভাবে দলকে দিশা দেখাতে চান নেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
আরও পড়ুন: পটনায় গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনী, মৃত্যু যুবকের