মমতার পাশে কেজরীবাল, আইপিএস তলবকাণ্ডে নিশানায় কেন্দ্র

রাজ্য সফরে আসা বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘিরে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের সংঘাত শুরু হয়। সেই ঘটনাতেই তিন আইপিএস অফিসারকে প্রথমে তলব ও পরে বদলির নির্দেশ দেয় কেন্দ্র।

মমতার পাশে কেজরীবাল, আইপিএস তলবকাণ্ডে নিশানায় কেন্দ্র
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 18, 2020 | 12:21 PM

নয়া দিল্লি: রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসারকে তলব ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-র সঙ্গে কেন্দ্রের যে দ্বৈরথ শুরু হয়েছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই দাঁড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal)। শুক্রবার তিনি টুইটে লেখেন, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ “যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার উপর হামলা”।

অরবিন্দ কেজরীবাল টুইট করে বলেন,”পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের ঘটনার নিন্দা জানাই। নির্বাচনের ঠিক আগে পুলিস কর্তাদের বদলির চেষ্টা করে রাজ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া আসলে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার উপর হামলা এবং অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা।”

চলতি মাসেই বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (J P Nadda) দুদিনের রাজ্য সফরে আসেন। সফরের দ্বিতীয়দিনে ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে তাঁর কনভয়ে হামলা চালায় কিছু দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় কেন্দ্র তলব করে পাঠায় নাড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন আইপিএস অফিসারকে (IPS Officers)। এরপরই ‘কেন্দ্র বনাম রাজ্য’ সংঘাত শুরু হয়।

আরও পড়ুন: কৃষকদের মন গলানোর চেষ্টা, আট পাতার চিঠি প্রকাশ কেন্দ্রের

তিন অফিসারকে দিল্লি পাঠানো নিয়ে রাজ্যের তরফে অপারগতার কথা জানানো হতেই তাঁদের বদলির নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। এই খবর জানতে পেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার পরপর তিনটি টুইট করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন এবং কেন্দ্রের নির্দেশকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে অ্যাখ্যা দেন।

প্রথম টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,”রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও তিনজন আইপিএস অফিসারকে সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। ১৯৫৪ সালের আইপিএস ক্যাডার বিধি অনুযায়ী জরুরি পরিস্থিতিতে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়, তার অপব্যবহার করছে কেন্দ্র।” দ্বিতীয় টুইটে তিনি বলেন,”এটি রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ ও সরকারি আধিকারিকদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা। ভোটের আগে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আঘাত হানছে কেন্দ্র, যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও অগ্রহণীয়।”

শেষ টুইটে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেন,”ঘুরপথে রাজ্য প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে কেন্দ্র, তা কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। পশ্চিমবঙ্গ আধিপত্যবাদ ও অগণতান্ত্রিক শক্তির সামনে কিছুতেই মাথা নীচু করবে না।”

কেজরীবালের এই টুইটে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিছুটা শক্তি পাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন: রাম মন্দির নির্মাণে রাগ হয়েছে! কৃষক আন্দোলনে বিরোধী সংযোগের ব্যাখ্যা দিলেন যোগী