অযোধ্যা: রাম ও অযোধ্যার জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র ভারতে নয়, দেশের বাইরেও একাধিক জায়গায় রামায়ণের গল্পের জনপ্রিয়তা রয়েছে। কম্বোডিয়া, জাপান, ফিলিপিন্স, চিন বা মঙ্গোলিয়ার মতো দেশে রামায়ণের গল্প অনেকেই জানেন। থাইল্যান্ডেও জনপ্রিয়তা রয়েছে রামায়ণের। সে দেশের প্রাচীন রাজধানীর নাম ছিল অয়ুথ্যা, যার সঙ্গে রামায়ণের অযোধ্যার মিল আছে বলে মনে করা হয়। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে অযোধ্যার যোগ আরও গভীর। আজও দক্ষিণ কোরিয়ার বহু মানুষ আসেন অযোধ্যা দর্শনে। কীভাবে তৈরি হল দক্ষিণ কোরিয়ার অযোধ্যা যোগ?
জানা যায়, প্রতি বছর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রচুর মানুষ অযোধ্যায় আসেন তাঁদের পূর্বসূরীর দেশ দেখতে, তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে। কে এই পূর্বসূরী? তাঁর নাম হিও হং-ওক। তাঁর আসল নাম ছিল সূরীরত্না। তিনি ছিলেন অযোধ্যার রাজকন্যা। কথিত আছে? প্রায় ২০০০ বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। রাজা কিম সুরোর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই রাজকুমারীর। মনে করা হয়, ওই দম্পতির বংশধরেরা আজও আছেন দক্ষিণ কোরিয়ায়।
কোরিয়ার প্রাচীন গ্রন্থ ‘সামগুক ইউসা’-তে ওই বিয়ের কথা উল্লেখ করা আছে। সেখানে বলা আছে, কিং সুরোর স্ত্রী ছিলেন অযোধ্যার মেয়ে। সেই কিং সুরোর স্ত্রী রানি হিও হং-ওক নাকি মিলিয়ে দিয়েছিলেন ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। ওই দম্পতিই তৈরি করেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কারক ডায়নাস্টি।
২০১৮ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্স্ট লেডি কিং জাং সুক। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে ভারতে এসেছিলেন তিনি। সেই সময় রানি হিও হং-ওকের স্মৃতিতে তৈরি স্মারকেও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছিলেন তিনি।