
নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী কমিটির রিপোর্টকে চ্য়ালেঞ্জ করে আবেদন করেছেন এলাহবাদ হাইকোর্টে বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা। ওই রিপোর্টে বিচারপতি ভার্মার বাড়ি থেকে টাকা পাওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ বিচারপতি। তাঁর দাবি, তাঁর দেওয়া প্রমাণ সঠিকভাবে দেখা হয়নি, তাঁর কথাও শোনা হয়নি।
আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি এজি মাসিহের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। আদালত সরাসরি প্রশ্ন করে, “কেন তদন্ত শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করলেন? আপনার পক্ষে নির্দেশ হবে ভেবেছিলেন?” বিচারপতি ভার্মার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, একজন বিচারপতি কখনই বিতর্কের বিষয় হতে পারে না। ১২৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একটা পদ্ধতি আছে। সিবালের বক্তব্য, শুধুমাত্র সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনও বিচারপতিকে সরানো সম্ভব।
বিচারপতি ভার্মার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করতে সুপ্রিম কোর্ট একটি ইন হাউস তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় খান্না বিচারপতি ভার্মাকে অপসারণের সুপারিশ করেছিলেন। রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। তা নিয়েও এদিন আপত্তি জানান আইনজীবী কপিল সিবল।
কপিল সিবল বলেন, “একজন বিচারপতিকে অপসারণের সুপারিশ করা একজন প্রধান বিচারপতির এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পাঠানোও ঠিক হয়নি।” তবে আইনজীবীর এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। বিচারপতি বলেন, নিয়োগকর্তা হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে এই বিষয়টি জানানো ঠিক। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানোও সঠিক বলে মনে করেন তিনি।
তদন্ত কমিটি যখন গঠন করা হয়েছিল, তখন কেন কোনও অভিযোগ তোলা হয়নি? কেন ভিডিয়ো প্রকাশ নিয়ে সেই সময় আপত্তি জানাননি বিচারপতি ভার্মা? সেই প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৩০ জুলাই আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে।