Supreme Court: যুবতীই সমস্যা ডেকে এনেছেন! ধর্ষণ মামলায় হাইকোর্টের এমন মন্তব্যে ‘সুপ্রিম’ সতর্কবার্তা
Supreme Court: এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দিল্লিতে একটি বারে ওই যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অভিযুক্ত ব্যক্তির। গত ১১ মার্চ অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার সিং।

নয়াদিল্লি: ধর্ষণে অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে আদালত। কিন্তু, সেই জামিন দিতে গিয়েই বিচারপতির মন্তব্যকে এবার অসংবেদনশীল বলল সুপ্রিম কোর্ট। একটি ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে জামিন দিতে গিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার সিং বলেন, সমস্যা ডেকে এনেছেন নির্যাতিতাই। একজন বিচারপতি কীভাবে এই মন্তব্য করেন, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত। কোনও রায় দিতে গিয়ে মন্তব্যের ক্ষেত্রে বিচারপতিদের সতর্ক থাকার কথা বলল বিচারপতি বিআর গবই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চ।
এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দিল্লিতে একটি বারে ওই যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অভিযুক্ত ব্যক্তির। গত ১১ মার্চ অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার সিং। জামিন মঞ্জুর করতে গিয়ে তিনি বলেন, নির্যাতিতা যুবতী মদ্যপ অবস্থায় অভিযুক্তের বাড়ি যেতে রাজি হয়েছিলেন। তিনিই সমস্যা ডেকে এনেছিলেন। নির্যাতিত যুবতী স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করেন। ফলে তিনি কী করছেন, তা তাঁর বোধগম্য রয়েছে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের ওই বিচারপতির মন্তব্যকে এদিন অসংবেদনশীল বলে সুপ্রিম কোর্ট। কোনও মন্তব্য করার আগে বিচারপতিদের সচেতন থাকা দরকার বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি গবই। তিনি বলেন, “জামিন দেওয়া যায়। কিন্তু, এমন মন্তব্য কেন। বিচারপতিদের আরও সচেতন হওয়া উচিত।”
এই খবরটিও পড়ুন




এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট অন্য এক বিচারপতি একটি ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় মন্তব্য করেছিলেন কিশোরীর বুকে হাত দিলে বা তার পাজামার দড়ি খোলার চেষ্টা করলে তা ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের চেষ্টা নয়। উত্তর প্রদেশের কাসগঞ্জে ২০২১ সালে ঘটনাটি ঘটেছিল। কিশোরীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে গাড়িতে তুলেছিল দুই যুবক। অভিযোগ, তার বুকে হাত দেওয়া হয়। এবং তার পাজামার দড়ি খোলা হয়। এমনকী, কিশোরীকে একটি কালভার্টের নীচে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই মামলারই রায় দিতে গিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, কিশোরীর বুকে হাত দেওয়া কিংবা তার পাজামার দড়ি খোলা ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের চেষ্টা নয়। একে যৌন হেনস্থা বলেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
একটি সংগঠন এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করার পর সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলার শুরু করে। নির্যাতিতার মা-ও হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। দুটি আবেদনের একসঙ্গে শুনানি করে সুপ্রিম কোর্ট। গত ২৬ মার্চ মামলার শুনানিতে সেই মন্তব্যকেও অসংবেদনশীল বলেছিল বিচারপতি বিআর গবই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চ। এদিন এই স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতেই বিচারপতি সঞ্জয় কুমার সিংয়ের মন্তব্য নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতিদের সতর্ক করে। কোনও রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে মন্তব্য করার সময় সাবধান থাকার কথা বলে শীর্ষ আদালত।





