
নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ‘বিষিয়ে’ যেতেই তাঁকে বলা হয়েছিল ‘নিজের দেশে’ ফিরে যেতে। কিন্তু তিনি কেনই বা যাবেন সেখানে? এই প্রশ্ন তুলে প্রথমে হাইকোর্ট ও পরে সরাসরি শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হন বেঙ্গালুরু নিবাসী আহমেদ তারিক বাট। সেখানেই অবশেষে মিলল স্বস্তি।
গত মাসে পহেলগাঁওয়ে হওয়ার হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে পড়শি দেশের বিরুদ্ধে ‘কূটনৈতিক যুদ্ধ’ শুরু করেছে ভারত। সেই ভিত্তিতেই সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়েছে দুই দেশের মধ্যে আসা-যাওয়া। বাতিল হয়েছে সকল পাকিস্তানিদের ভিসাও। দেশে ফিরতে বলা হয়েছে, পাক নাগরিকদের।
সেই পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার নির্দেশিকা এসেছিল আহমেদ তারিক বাটের কাছেও। তিনি বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে একটি বহুজাতিক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা কর্মরত। নির্দেশিকা পাঠিয়ে সপরিবারে তারিককে দেশ ছাড়তে বলে স্থানীয় প্রশাসন। সেই ভিত্তিতেই আদালতে দ্বারস্থ হন তিনি। আজ অর্থাৎ শুক্রবার বিচারপতি সূর্যকান্তের বেঞ্চে ছিল শুনানি। সেখানেই মিলল স্বস্তি। পাকিস্তানে যেতে হবে না তারিককে।
আদালত সূত্রে খবর, তারিকের জন্ম পাকিস্তানের মিরপুর এলাকায়। কিন্তু বহু বছর ধরেই তারা ভারতেরই নাগরিক। ১৯৯৭ সালে নিজের বাবার সঙ্গে এ দেশে চলে আসেন তারিক। নতুন দেশে পাড়ি দিয়ে ওঠেন শ্রীনগরে। পরবর্তীতে ‘বৈধ’ ভাবেই ভারতের নাগরিকত্ব পায় তার গোটা পরিবার। ফিরে দেয় পাকিস্তানের নাগরিকত্ব ও পরিচয় পত্র। সেই থেকেই এ দেশের বাসিন্দা তারা।
এমনকি, তারিক নিজের স্কুল জীবন ও পরবর্তীতে কেরলের IIM থেকে ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে বেঙ্গালুরুতেই এক বহুজাতিক সংস্থা কর্মরত তিনি। তারিকের ফিরে যাওয়ার নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, দেশের বহু মুসলিম ব্যক্তির কাছেই এমন নির্দেশিকা ভুল বশত চলে যাচ্ছে। তবে তারিককে স্বস্তি দিলেও, তার পরিচয়পত্র পুনরায় যাচাই করানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।